সবার আগে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় দলটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সাথে সংলাপে এ প্রস্তাব দেয়।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির সাথে এলডিপি নেতাদের সাথে এই সংলাপ।
সংলাপ শেষে অলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিরোধী দলের ওপর সরকার দমন-পীড়ন, নির্যাতন চালাচ্ছে। এ অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল না করে শুধু ইসি নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করে সমাধান আসবে না। বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা তুলে ধরেছি।’
আইনি কাঠামো ঠিক করে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করেছেন বলেও জানান তিনি।
অলি বলেন, ‘আইন না হলে ইসিতে ফেরেস্তা নিয়োগ হলেও তা সুফল বয়ে আনবে না। ইসি নিয়োগ নিয়ে প্রতি পাঁচ বছর পর রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপও সম্ভব নয়।’
এলডিপির পর বেলা ১২টা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মনজুরুল আহসান খানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শুরু করে।
উল্লেখ্য, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে মতামত জানতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে গত ২২ ডিসেম্বর সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।
এর আগে এলডিপি ছাড়াও জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (ইনু), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় পার্টির (জেপি) সাথে সংলাপ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনের মেয়াদ আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। আর আরেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেনের মেয়াদ শেষ হবে ২০১২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ফলে নতুন ইসির নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক জটিলতা নিরসনে রাষ্ট্রপতি এ সংলাপ আয়োজনের উদ্যোগ নেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৯ জন নির্বাচন কমিশনার ও ১০ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা