স্টাফ রিপোর্টার :: ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামালা হোসেনকে কাপুরুষ বলে সম্বোধন করেছেন ফ্রন্টের নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ডা. জাফরুল্লাহকে মইনুল হোসেন বলেন, ড. কামালের পেছনে গিয়ে কোন লাভ হবে না। দু’জনের ফাঁস হওয়া ফোনালাপে মইনুল হোসেনকে ধৈর্য ধরাও আহ্বান জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, নিজেকের মধ্যে বিভক্তির কারণে সরকার পক্ষ লাভবান হবে এবং এ সময়ে মইনুলের পাশে ঐক্যফ্রণ্টের থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
জাফরুল্লাহর সঙ্গে মইনুলের ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি ছিল এমন-
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন: আমি বললাম যে, দেখেন ড. কামাল, আমাকে আঘাত করে যে মামলা করে যে হ্যারাস করতেছে। আমি মনে করি যে, আপনার পক্ষ থেকে একটা স্টেটমেন্ট দেয়া যে, আমাদের জনঐক্যের ভেতরে একটা গণ্ডগোল সৃষ্টির চেষ্টা করতেছে। দুইটা সেনটেন্সের স্টেটমেন্ট দেন একটা। সে বলে কি জানো? আমি এই বিষয়টা ঐক্য প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে চাই না। বলো তো!
ডা. জাফরুল্লাহ: মুশকিল, ওরা তো এইটাই চাচ্ছে, গভমেন্ট তো এইটাই চাচ্ছে। গভমেন্ট চাচ্ছে তোমাকে আলাদা করতে। তোমাকে আলাদা বের করতে…
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন: না না, সে যদি এইটুকু দায়িত্বে না থাকে তাহলে তার সাথে থাকবো কেন? আমি বলে দিয়েছি, আমি আপনার সঙ্গে নাই তাহলে। আপনার ঐক্যফ্রন্টে নেই।
ডা. জাফরুল্লাহ: চুপ করে থাকো একটু।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন: না না, চুপ করে থাকা না। কালকে তুমি একটা স্টেটমেন্ট দিবা যে, এটা আমার ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপার না। তা কোন ঐক্যফ্রন্ট। আমি আমার নিজের ঐক্যফ্রন্টে থাকবো। তার ঐক্যফ্রন্টে থাকবো না। দেখি তার ঐক্যফ্রন্টে কয়টা থাকে। আমার ওপর চরম বিপদ, আমি বেলের পর বেল নিতেছি।
ডা. জাফরুল্লাহ: এই সময় আমরা যদি একে অপরের পাশে না দাঁড়াই তাহলে তো সমস্যা।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন: এই সময়, এই জন্যই তো বললাম যে, দুই সেনটেন্সের একটা স্টেটমেন্ট দেন যে, মইনুল হোসেনকে যেভাবে একতরফাভাবে মামলা সিকোয়েন্স করেছে আমরা তাকে উদ্বিগ্ন। সে বলে যে, আমি এটাকে ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে আনতে চাচ্ছি না। তার কিসের ঐক্যফ্রন্ট? (উত্তেজিত হয়ে)। উইথআউট মইনুল হোসেন কিসের ঐক্যফ্রন্ট তার আছে? কিসের ঐক্যফ্রন্ট?
ডা. জাফরুল্লাহ: খুবই খারাপ কাজ।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন: এটা তো একটা কাউয়ার্ড। এটা কোনো কাজের না। এর পেছনে গিয়ে কোন লাভ হবে না আমাদের।
ডা. জাফরুল্লাহ: কাউয়ার্ড, কাউয়ার্ড।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন: আমার ঐক্যফ্রন্ট আমার থাকবে।