ইয়ানূর রহমান, যশোর প্রতিনিধি ::

ডেঙ্গু জরে আক্রান্ত হয়ে যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৯ জন। এনিয়ে যশোরে মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১০৮ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন।সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,  গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- চৌগাছা কয়ারপাড়া গ্রামের সমীর কর্মকারের স্ত্রী দোলন কর্মকার (৩৩) এবং বাঘারপাড়া উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল গফফার (৬৫)।

শনিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে যশোর সিভিল সার্জনের মিডিয়া সেলে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। তারা দুজনই স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ১২ জুলাই যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার তাদের মৃত্যু হয়েছে। তারা দুজনই হার্টের ও ডায়াবেটিস রোগী ছিলেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। আক্রান্তরা সবাই যশোর জেনারেল হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন। মারা যাওয়া দুজনই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি জানান, যশোরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। খারাপ হতে পারে এমন আশঙ্কায় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালসহ প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু কর্নার খোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন উপজেলায় নিয়মিত উঠান বৈঠক ও অবহিতকরণ সভা করা হচ্ছে।

এদিকে যশোরের কয়েকটি উপজেলা ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হলেও মশা নিধনের তৎপরতা নিয়ে হতাশ এলাকাবাসী। মশা নিধনে স্প্রে বা এডিশ মশার লার্ভা ধ্বংসে প্রত্যাশিত তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন শহরবাসী।

তারা বলছেন, এরইমধ্যে সদর ও অভয়নগর উপজেলা ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হলেও মশার লার্ভা ধ্বংসে অভিযান চালানো হয়নি। সংশ্লিষ্টদের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুধু হাঁকডাকই শোনা যাচ্ছে।

শহরের জেল রোড এলাকার বাসিন্দা শিউলি বেগম বলেন, এ এলাকায় কখনো মশার ওষুধ ছিটানো হয়নি। মশার ওষুধ শেষ কবে আমাদের এলাকায় দিয়েছে আমরা কেউ বলতে পারি না। শহরের স্টেডিয়াম এলাকার বাসিন্দা হাসানুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে রোগী ভর্তির কারণে জানতে পারছি জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম কারও নজরে পড়েনি।

এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ জানান, চলতি মাসের শেষে ৯টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করা হবে। ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পৌরসভার উদ্যোগে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here