ঠুমরী’র রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীতে মুগ্ধ দর্শকশ্রোতা

স্টাফ রিপোর্টার :: ঠুমরী’র আয়োজনে গত ১৯ জুলাই জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠিত হলো। সন্ধ্যে ৬:৪৫ মিনিটে শুরু হয় রাত ৯:২০ মি. পর্যন্ত দর্শকশ্রোতাদের মুগ্ধতায় এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশে এ অনুষ্ঠান দর্শকশ্রোতারা উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন ঠুমরীর সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত প্রশিক্ষক ও শিল্পী আফসানা রুনা। এরপর ঠুমরীর সভাপতি বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম দর্শক শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন :- বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সুজেয় শ্যাম, সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশীদ আলম, শেলু বড়-য়া, শাহজাহান পাটোয়ারী, রওশন আরা সোমা, বাবুল রেজা, বাংলাদেশ বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক সায়েদ মোস্তফা কামাল ও সারগাম সম্পাদক কাজী রওনক হাসানসহ আরো অনেকে।

বক্তব্য পর্বের পর শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী কামাল আহমেদের গাওয়া “ছায়া ঘনাইছে বনে বনে” গানটি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দর্শক শ্রোতাদের গভীর মুগ্ধতায় কামাল আমদে একে একে গেয়ে শোনান – নিশি না পোহাতে, আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ, আমার পরান যাহা চায় এবং আকাশ ভরা সূর্যতারা।

বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ইয়াসমিন মুশতারী “তুমি কোন পথে এলে” গানটি দিয়ে তার পরিবেশনা শুরু করেন। তিনি একে একে গেয়ে শোনান – পরদেশী মেঘ, গোঠের রাখাল, সেদিন ছিল গোধূলী লগন এবং তরুন প্রেমিক।

এরপর বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী “আমার খেলা যখন” গানটি দিয়ে তার পরিবেশনা শুরু করেন, তিনি একে একে গেয়ে শোনান – জীবনে আমার যত আনন্দ, আরো কত দূর, পূব হাওয়াতে দেয় দোলা এবং ও ভাই কানাই।

বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী আফসানা রুনা “ সুরেও বানীর মালা দিয়ে” গানটি দিয়ে তার পরিবেশনা শুরু করেন। তিনি একে একে গেয়ে শোনান – নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখিজল , রিম ঝিম রিম ঝিম ঘন দেয়া বরষে, কেন দিলে এ কাটা যদি গো কুসুম দিলে, চৈতালী চাদিনী রাতে।

ঠুমরী’র আয়োজিত এটি ছিল দ্বিতীয় অনুষ্ঠান। পরিপূর্ন মিলনায়তনে পিনপতন নিরবতায় দর্শক শ্রোতারা গুনি ৪ জন শিল্পীর হৃদয়স্পর্শী, মনোমুগ্ধকার ও আবেগী পরিবেশনা উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত সকল দর্শক শ্রোতা শিল্পীদের পরিবেশনার গুনে সঙ্গীতে নিমগ্ন হয়ে মিলনায়তনে অবস্থান করেন। ঠুমরী’র এই রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীর অনুষ্ঠান দর্শক শ্রোতাদের মনে বহুদিন স্মৃতি হয়ে বেঁচে থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here