ঠাকুরগাঁওয়ে শৈত্য প্রবাহ চলছে। গত দুদিনের চেয়ে শনিবার ভোর থেকেই প্রচন্ড কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই সাথে ঝিরিঝিরি কুয়াশা বৃষ্টির মতো পড়ায় কাবু হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষ। আজও দুপুর ১টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি। জেলা কৃষি বিভাগ জানায়,শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেবর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
শীত জনিত রোগে হাসপাতাল গুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৭২ঘন্টায় সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া,ডায়রিয়াসহ ঠান্ডজনিতরোগে আক্রান্ত হয়ে ১২০ শিশু ভর্তি হয়েছে । এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার আমেনা (১ দিন) ও শুক্রবার রুবেল (৪) নামে ২ শিশু মারা গেছে ।
শিশুরা ছাড়াও বয়বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ট,হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃআবু মোহাম্ম খয়রুল কবীর ২শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘন কুয়াশার কারনে রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন গুলো চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান দুস্থদের পাশে এগিয়ে না আসায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তারা।
কনকনে এই শীতে ঠাকুরগাঁওয়ে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছে ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। দুস্থ ও ছিন্নমুল মানুষরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এবার জেলায় ৩০ হাজার কম্বল চেয়ে ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে পাওয়া গেছে মাত্র ৩ হাজার কম্বল। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/তানিয়া সরকার/ঠাকুরগাঁও