ঠাকুরগাঁওয়ে দোকান মালিকদের হামলায় পুলিশ,শিক্ষক ও শ্রমিকনেতাসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দোকান কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ আহমেদ সুবর্ন ও স্কুল শিক্ষক কোহিনুর বেগম গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার বেলা ১২টায় দোকান শ্রমিক কর্মচারি আহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছল বের করলে মালিক পক্ষ উত্তেজিত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় পুলিশ মালিক পক্ষের চাপে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে পেছন থেকে মালিকরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
দোকান শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ আহমেদ সুবর্ন আত্নরক্ষায় পিটিআই এর মহিলা হোস্টেলে ঢুকলে সেখানেও হামলা চালিয়ে মালিকরা তাকে লাঠি পেটা করে। এ সময় মাসুদ আহমেদ সুবর্ন, পুলিশ কনস্টেবল মতিউর রহমান, পিটিআই এর প্রশিক্ষণার্থী কোহিনুর বেগম,দোকান কর্মচারি আব্দুল আজিজসহ অন্তত ১৩জন আহত হন। এদের মধ্যে মাসুদ আহমেদ সুবর্ন ও কোহিনুরকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর শহর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, শুক্রবার শহরের আঁখি এন্টার প্রাইজ নামে একটি হার্ডওয়ার দোকান মালিককে তার কর্মচারি লাঞ্চিত করে। এরপর শাহজালাল শপিং মলের তালুকদার স্টোরের বাচ্চু মিয়াকেও কর্মচারিরা লাঞ্চিত করে। এরই প্রতিবাদে শনিবার বেলা ২টা পর্যন্ত দোকান ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
তবে দোকান শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ আহমেদ সুবর্ন পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, শুক্রবার কর্মচারিরা সাপ্তাহিক ছুটি পায়। কিন্তু মালিকরা এটা মানছেন না। এর প্রতিবাদ করলেই দোকান কর্মচারি সাইফুলকে বেধরক পেটায় মালিক। সেই ঘটনায় সাইফুলসহ ৩জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলেই মালিক পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে পেছন থেকে অর্তকিত হামলা চালায়। দোকান মালিকরা পিটিআই এর মহিলা হোস্টেলে ঢুকে আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি গোপাল চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/তানিয়া সরকার/ঠাকুরগাঁও