ঠাকুরগাঁও আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. বদিউজ্জামান বাদলের স্ত্রী উম্মে কুলসুম (৬০) পালক পুত্রের হাতে খুন হয়েছে। ঘটনার রাতেই পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ফয়সাল (১৮) নামে তাদের পালকপুত্রকে গ্রেফতার করে। টাকা চুরি করতে গিয়ে পালক মাতা চিনে ফেলায় পালকপুত্র তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। সোমবার গ্রেফতারকৃত ফয়সাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গত রোববার দুপুরে আইনজীবী বদিউজ্জামান তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমকে হাত-পা ও মুখ বাধাঁ অবস্থায় শয়ন ঘর থেকে উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ওই দিন সকালে আইনজীবি বদিউজ্জামান তার স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে আদালতে যান। দুপুর পর্যন্ত তিনি বাড়িতে একাকি ছিলেন। দুপুরে তার অবসরভাতা তোলার জন্য সোনালী ব্যাংকে যাওয়ার কথা। কিন্তু দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোবাইলে বার বার ফোন করেও রিসিভ না পেয়ে ওই আইনজীবী বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ওই বাড়ির কাজের মেয়ে ফুলো বেগম ও তার পুত্র ফয়সালকে রোববার রাতে পুলিশ আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল হত্যার কথা স্বীকার করে। সে তার জবানবন্দিতে জানায়, শনিবার রাতে ফয়সাল আইনজীবী বদিউজ্জামানের ৩ তলায় অবস্থান নেয়। সকালে আইনজীবী আদালতে গেলে সে নিচ তলায় নেমে আইনজীবীর শয়ন কক্ষে যায়। সে আইনজীবীর স্ত্রী উম্মে কুলসুমকে লেপ দিয়ে পিছন দিক থেকে মুখ চেপে ধরে। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে ফয়সাল তার হাত পা মুখ বেধে পাশের রুমে ফেলে রাখে। এরপর সে বিভিন্ন কক্ষ থেকে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পালানোর সময় আইনজীবীর স্ত্রীকে বসে থাকতে দেখে এবং মুখোমুখি হওয়ায় সে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় রোববার ঠাকুরগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/তানিয়া সরকার/ঠাকুরগাঁও