জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ::
যশোরের কেশবপুরে চাষাবাদে ট্রাক্টরের রোটরের ফলায় পেচিয়ে হাসেম সরদার নামে এক শ্রমিক মারাত্নক আহত হয়েছে। ইতোমধ্যে ডাক্তার ঐ শ্রমিকের ডান পা কুকচির গোড়া থেকে কেটে বাদ দিয়েছেন।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সরাপপুর গ্রামে। এ ঘটনায় ঐ শ্রমিকের ভাই প্রতিকার চেয়ে কেশবপুর থানার একটি অভিযোগ করেছেন। এদিকে টাকার অভাবে হতদরিদ্র ঐ শ্রমিকের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার সরদারের ছেলে হাসেম সরদার (৪৬) উপজেলার মির্জানগর গ্রামের আজিজ মেম্বারের ট্রাক্টরে কাজ করতো। সরাপপুুর গ্রামের ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে ট্রাক্টর মালিক ও চালক আব্দুস সালাম মোল্লা তার ট্রাক্টরে কাজ করা জন্য হাসেম সরদারকে নানা প্রলোভন দেয়। এক পর্যায় গত১৬ জুলাই সকালে হাসেম সরদারকে শ্রমিক হিসেবে সাথে করে নিয়ে উপজেলার রঘুরামপুর মৌজার দক্ষিণ মাঠে জমি চাষ করার জন্য নিয়ে যায়। মাঠে নিয়ে ট্রাকের পিছনের দু’চাকার ফাঁকে ঢুকে রোটারের নাট/খিল লাগাতে বলেন। নাট/ খিল লাগানো সময় ট্রাক্টর মালিক ও চালক রোটরটি চালু করে দেয় । তাৎক্ষণিক শ্রমিক হাসেম সরদারের ডান পা রোটরে পেচিয়ে যায়। আহত শ্রমিকের চিৎকারে আশেপাশের জনতা উপস্থিত হয়ে আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে যশোর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থা অবনতি ঘটলে ডাক্তার আহত শ্রমিকের ডান পা কুকচির গোড়া থেকে কেটে বাদ দিয়েছেন। বারবার অপারেশন করায় তার ৬০ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। এ ছাড়া ঐ শ্রমিকের ডান পায়ের পিছনের অংশ রোটরের ফলায় মারাত্মক জখম হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আহত শ্রমিকের ভাই তোফাজ্জেল সরদার গত ১৩ আগষ্ট কেশবপুর থানার একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়টি থানার এস আই আব্দুল কাদের জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।