“যার যা কিছু আছে তা নিয়ে টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধে ঝাপিয়ে পড়ুন”। এ এন এম ঈসা
ভারত ঘোষনা দিয়েছে যে কোন মূল্যে টিপাইমুখ বাধ দিবে। ভারতের এই উক্তি দেখে আমরা খুবই বিস্মীত। টিপাইমুখ বাধঁ ভারত যেখানে করতে চায় সেই এলাকাটি বিশ্বের সর্বাধিক ভূমিকম্পন ঝুকিপূর্ণস্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাই যে কোন সময় ভূমিকম্পের ফলে বাঁধ ভেঙ্গে পানির স্রোতে ভেসে যেতে পারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লিলাভূমি বৃহত্তর সিলেটের অববহিকা। সকলেই বানের স্রোতে ভেসে যেতে হবে। সুতরাং বাংলাদেশকে রক্ষার প্রশ্নে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বাঁধ নির্মানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তানা হলে জাতীয় জীবনে ফরাক্কার মতো আরও একটি অভিশাপ নিয়ে টিপাইমুখ বাধঁ আমাদের জাতির অস্থিত্ব বিপন্ন করে ফেলবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সর্বদাই ভারত আমাদের বন্ধুর পরিচয় দিয়েছে। তাই বন্ধুসুলোভ ব্যবহার করবে এটাই কাম্য অবশ্যই প্রভুর ন্যায় নয়। উপরোক্ত কথাগুলো বলেন আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির কেন্দ্রীয় আহবায়ক এ এন এম ঈসা। তিনি বলেন আর বসে থাকা যায় না, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধে ঝাপিয়ে পড়লে ভারত কোন অবস্থায়ই টিপাইমুখ বাধ দিতে পারবে না।
গত ২১শে নভেম্বর সমবার বিকালে আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির যুক্তরাজ্যস্থ নিউক্যাসেল শাখার উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির যুক্তরাজ্যস্থ নিউক্যাসেল শাখার আহবায়ক হাজী মতলিব মিয়া বলেন টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধে আমরা প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধ দিলে ভারত কোন অবস্থাই এই বাধ দিতে পারবে না। মহান আলস্নাহ পাক বলেছেন- ”তোমরা তোমাদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা কর আমি আমি ফলাফল দেওয়ার মালিক”। আমরা চেষ্টার কোন ত্রুটি করতে চাই না। আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করে বেআইনিভাবে কেউ কিছু করবে আর আমরা তা মেনে নিবো না। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া অথবা অন্যায়কে মেনে নেওয়া উভয়ই সমান অপরাধ।
আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির যুক্তরাজ্যস্থ নিউক্যাসেল শাখার যুগ্ন আহবায়ক জনাব হাজী মোগল মিয়া বলেন, ভারতের কাছে প্রশ্ন সুরমা কুশিয়ারা আন্তর্জাতিক নদী কি না? সুরমা কুশিয়ারার পানি যদি ভারত থেকে এসে থাকে তবে এগুলো আন্তর্জাতিক নদী। আর আন্তর্জাতিক নদীতে কোন এক দেশ চাইলেই বাধ দিতে পারে না। জাতিসংঘের মাধ্যমে আমরা আমাদের অধিকার বহাল রাখব। উপস্থিত অন্যান্য বক্তাগন বলেন জীবন দিয়ে হলেও জীবন ধবংশকারী এই টিপাইমুখ বাধঁ প্রতিরোধ করে বাংলাদেশকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করবই। এই হোক আজকের শপথ। জয় হবে শোষিতের, জয় হবে মেহেনতী মানুষের, জয় হবে নিপিরীত ভাগ্যহত জনতার। স্মারকলিপি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন সর্বজনাব সৈয়দ মাছুদ আহমদ, হারুন মিয়া, হাজী রমজান উল্লাহ, মনওয়ার কোরেশী, তুহীন চৌধুরী, লিজু আহমদ, ছইদুল মিয়া, সৈয়দ মাহফুজুল ইসলাম, সহীদুল ইসলাম, মো: সরওয়ার আহমদ, কে ইসলাম, সৈয়দ ছুলুল আহমদ, বসরুক আলী জায়গীরদার, আব্দুল করিম, আলী আকবর, দরছ মিয়া, নিউক্যাসেল বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের অর্ন্তবর্তী চেয়ারম্যান জনাব মাহতাব মিয়া, সাবেক সাধারন সম্পাদক জনাব মজিবুর রহমান মধু প্রমুখ। ছবিতে ম্যানচেষ্টারে নিযুক্ত সহকারী হাই কমিশনার জনাব জকি আহাদ সাহেবকে (কাল কোট পরিহিত) স্মারকলিপি হস্তান্তর করছেন আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির যুক্তরাজ্যস্থ নিউক্যাসেল শাখার আহবায়ক হাজী মতলিব মিয়া। পার্শে আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির কেন্দ্রীয় আহবায়ক এ এন এম ঈসা সহ অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/প্রবাসী থেকে