ডেস্ক রিপোর্ট : : টিকা কর্মসূচিতে ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেকটা এগিয়ে আছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছেন এক তৃতীয়াংশ মানুষ।দেশটিতে প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষকে কোভিড-১৯-এর টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় দুই কোটি ৯০ হাজার মানুষকে দেয়া হয়েছে এ ডোজ। অ্যাস্ট্রাজেনেকার নিজস্ব ভ্যাকসিন ছাড়াও মার্কিন ভ্যাকসিনও দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এটিকে বিশাল জাতীয় কৃতিত্ব হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস কাজের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। মে-জুলাইয়ের মধ্যে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ককে এক ডোজ করে টিকা দেয়ার কাজ শেষ করতে চায় কর্তৃপক্ষ।
আর ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, ফাইজার-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ৮০ বছর বয়সীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার অন্তত ৮০ শতাংশ হ্রাস করে।
এদিকে, প্রায় এক বছর পর খুলছে ব্রিটেনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তাই খোলার পর কেমন পরিস্থিতি হবে তা দেখতে স্কুল পরিদর্শনে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণে যেন মেতে ওঠেন বরিস। পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। কথা হয় ভ্যাকসিন ও আগামী সপ্তাহে স্কুল খোলার বিষয়টি নিয়ে।
এ সময় ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রত্যেকটি মানুষই চায়, স্কুল খুলুক। সে অনুযায়ী সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের হাতে ৫০ মিলিয়ন করোনার টেস্টিং কিট আছে, আমরা গণহারে টিকার কাজ যেমন চালাতে পারছি, তেমনি পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারবো। টিকার ওপর জনগণের ভরসা বাড়ছে। আমি নিজেও শঙ্কার কিছু দেখি না। যেকোনো বৈশিষ্ট্যের কোভিড আমরা রুখে দিতে পারবো।
ইউরোপে করোনায় সবচেয়ে প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে অধিক সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসেরও সন্ধান মিলেছে। এতে ভাইরাসটি সেখানে দ্রুত ছড়িয়েছে। তবে গণহারে টিকা কার্যক্রম আশার আলো দেখাচ্ছে।