টাঙ্গাইলে বিএনপি’র গণমিছিলে ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের হামলায় ২০ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকালে গণমিছিলকে সফল করতে বিভিন্ন স্থান থেকে খন্ড খন্ড মিছিল এসে শহরের পৌর উদ্যানে সমবেত হতে থাকে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মিছিলের উপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এসময় পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
সকাল সাড়ে এগারটার দিকে বিএনপি’র একটি মিছিল পৌর উদ্যানের দিকে আসার সময় শহরের নিরালা মোড়ে ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীরা হামলা চালায়। হামলায় দেলদুয়ার বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল আজিজ চানখা, সাধারণ সম্পাদক এসএম ফেরদৌস, নাগরপুরের সলিমাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রদল কর্মী ভূঞাপুর উপজেলার সোহেল, শহরের বেপারীপাড়ার রাজীব গুরম্নতর আহত হন। এসময় নিরালার মোড়ে বিন্দুবাসিনী স্কুলের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ হলে স্কুলের শিড়্গার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াতে থাকে। পরে হামলায় আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় উভয় দলের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করে। শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রসত্ম হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়।
পরে পৌর উদ্যান থেকে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সম্পাদকসহ সাবেক সাত এমপি’র নেতৃত্বে বিএনপি’র কয়েক হাজার লোকের বিরাট গণমিছিল বের হলে পুলিশ বাধার সৃষ্টি করে মিছিলের গতিপথ ঘুরিয়ে দেয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিরালা মোড়ে লাঠিশোটা নিয়ে অবস্থান নেয়। পরে বিএনপি’র মিছিলটি পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ঘুরে নিরালার মোড়ে আসতে চাইলে পুলিশ সেখানে পুনরায় বাধা দেয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেই মিছিলে আরেক দফা হামলা চালায়।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তোফা, বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ এই মিছিলে বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা দাবি করেন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গণমিছিলে আসার সময় বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক বিএনপি’র নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহরিয়ার সিফাত/টাঙ্গাইল