টাইম ম্যাগাজিনে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে সংক্ষিপ্তাকারে তা তুলে দেওয়া হল।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৬ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের বিকাশের সাথে সাথে গড় আয়ও বেড়ে হয়েছে ৬.৩%। ২০০৫ সালে বলা হয় এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে ১১ বছরের মধ্যে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং চীনের সমপর্যায়েই নিয়ে যাবে।

পোশাক শিল্পের এই বৃদ্ধি দেশের ২.৫ মিলিয়ন শ্রমিককে মাসে ৪০ ডলারের যোগান দেয়, যা চীনের শ্রমিকদের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের পোশাক খাতে রফতানি ছিল ২ বিলিয়ন ডলার কিন্তু ২০১১ সালে তা ১৭.৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

৫ মিলিয়ন বাংলাদেশি প্রবাসে কাজ করে। গত বছর এই প্রবাসীরাই দেশে ১২ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে।

অথচ সমস্যা যত শেয়ার বাজারে। ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করায় বাজার দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০১০ সালের মধ্যে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৯০ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়। আর এই উত্থানে শেয়ারবাজার সম্পর্কে অজ্ঞ অথবা খুব সামান্য জ্ঞান রাখেন—এমন অনেককে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করা হয়। এর ফলে ২০০৭ থেকে ২০১০ পর্যন্ত বিও হিসাবের সংখ্যা পাঁচ লাখ থেকে সাত গুণ বেড়ে প্রায় ৩৫ লাখে পৌঁছে। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই অতি মূল্যায়িত বাজারে শেয়ার কেনে ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

খাদ্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ দেখা যায়। গত বছর শেয়ার বাজারেন সামনে বিনিয়োগকারীদের টায়ার পোড়ানো ও প্রতিবাদের ঘটনা ঘটে অহরহ।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নিউজ ডেস্ক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here