ঝিনাইদহে সড়ক দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র মিন্টু মিয়া নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়ক ৩ ঘন্টা অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর ও নিহতের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত সড়কটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
আজ দুপুর ১২টার দিকে ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র মোঃ মিন্টু মিয়া কলেজ থেকে বাই-সাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিল। সে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের সাধুহাটি নামক স্থানে পৌছালে রাজবাড়ী থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী রেখা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। নিহত মিন্টু জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে কলেজ ছাত্র ও এলাকাবাসী সড়কের ডাকবাংলা বাজারে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সাড়ে ১২ টা থেকে সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে। এসময় বেশ কিছু যানবাহন ভাংচুর করা হয় এবং নিহত মিন্টু মিয়ার লাশ নিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল করে।
তারা সাধুহাটি মোড়ে একটি গতিরোধক, ঘাতক চাকলকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানায়।
ঝিনাইদহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌছে ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিকাল সাড়ে ৩টায় তারা অবরোধ তুলে নেয় ।
ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে চালক পলাতক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা যায়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহারিয়ার রহমান রকি/ঝিনাইদহ