টানা ১০ দিন ধরে বয়ে চলা প্রচন্ড শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঝিনাইদহ জেলায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়ে চলেছে। সেই সাথে শীত জনিত রোগে জেলায় একর পর এক মানুষ মারা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত নিউমোনিয়ায় দুই শিশুসহ শীত জনিত রোগে মারা গেছে অনত্মত ১১ জন। এর মধ্যে মহেশপুর উপজেলায় ৮ জন, শৈলকুপায় ২ জন ও কালীগঞ্জে একজন মৃত্যু বরণ করেছেন।

জানা গেছে গত এক সপ্তাহে জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে শিশুসহ ২ শতাধিক ডায়রিয়া ও নিইমোনিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামে দুই শিশু মারা গেছে।

শৈলকুপা উপজেলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিয়াজ ও জুঁথি নামের ১০ মাসের ২ শিশু, ৯ মাসের জিহাদ ও ৪ মাসের মাহবুব ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এবং হৃদয় নামে ২ মাসের ও রাহুল নামে ৪০ দিনের শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। ঐসময় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৮ শিশু এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অপর ১২ শিশু ভর্তি হয়েছে।

শৈলকুপার কবিরপুর গ্রামে খাদ্য গুদাম পাড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে নিইমোনিয়ায়। একই গ্রামের ট্রাক ড্রাইভার তারাচাঁদ সাহাও ঠান্ডাজনিত কারণে ঐ রাতেই মারা যান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ শহরের সিআই পট্রি পাড়ায় মহিউদ্দীন নামে এক শিক্ষা কর্মকর্তা শীত জনিত রোগে মৃত্যু বরণ করেছেন। মহেশপুর উপজেলায় স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ আলী, কানাইডাঙ্গা গ্রামের গোবিন্দ হালদার, গুড়দা গ্রামের খলিলুর রহমান, কেশবপুর গ্রামের আব্দুল মালেক, জলিলপুর গ্রামের সানামান বেগমসহ ৮ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে সারা জেলায় প্রচন্ড শীতে জন জীবন বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েছে। গড়ম কাপড়ের অভাবে দরিদ্র মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। প্রচন্ড শীতেও সরকারী ভাবে জেলায় কোন শীতবস্ত্র বিতরণের কোন খবর নেই। রেডক্রিসেন্ট ও জেলা প্রশাসকের ত্রান ভান্ডার এমনকি সংসদ সদস্যরাও এ ব্যাপারে কোন উদো্যাগ নিচ্ছে না।

শাসক দলের নেতারা শুধু চাল ও টেন্ডার বানিজ্য নিয়ে বেশি ব্যসত্ম বলে মনে হচ্ছে। বেসরকারী সংস্থাগুলোও হাত গুটিয়ে বসে আছে বলে অভিযোগ।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহারিয়ার রহমান রকি/ঝিনাইদহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here