শাহারিয়ার রহমান , ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ শহরের উপ শহর পাড়ায় জোছনা খাতুন (৩৬) নামে এক গৃহপরিচারিকাকে বিবস্ত্র করে বেদম মারধরের পর তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। আহত জোছনা হরিনাকুণ্ডু উপজেলার নারায়নকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের স্ত্রী।
ঝিনাইদহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস’ জোছনা খাতুন জানান, তিনি ৩ বছর ধরে হরিনাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জোয়ারদারের শহরের বাসায় কাজ করত। জোছনা তার উপর নির্যাতনের কাহিনী বর্ননা করতে গিয়ে জানায়, মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) দুপুরে বাসার কাজ নিয়ে ব্যস- ছিল। এ সময় ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মশিয়ার রহমান জোয়ারদারের জামাই তপু বাসায় আসেন। তাদেরকে টেবিলে খাবার দেওয়া হয়। আমি কাছেই দাড়িয়ে ছিলাম। এ সময় তার জামাই তপু চোয়ালে সজরে থাপ্পড় মারেন। এ সময় মিরা নামে তার এক শ্যালিকাও নির্যাতনে অংশ নেন। তাদের নির্যাতনে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফিরে দেখেন তিনি বিবস্ত্র ও তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে গাড়ির ড্রাইভার সোহাগ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা হাসপাতালে ছুটে গেলে ড্রাইভার সোহাগ তাদেরকে নির্যাতিত’র কাছে যেতে বাধা দেয়।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা মানবাধিকার বাস-বায়ন সংস’ার জেলা কোঅর্ডিনেটর আমিনুর রহমান টুকু জানান, জোছনাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন মানবাধিকারের চরম লংঘন। তিনি বলেন এ সব অহসায় ও নির্যাতিত মহিলাদের পাশে মানবাধিকার আছে এবং আইনগতসহ সব সহায়তা প্রদান করে হবে।
এ নিয়ে চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জোয়ারদারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ড্রইভার জানান চাচা জরুরী কাজে ভারত গেছেন।
এদিকে এক অহসায় গৃহপরিচারিকাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় জেলার নারী সংগঠনগুলো তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা এ ঘটনার জন্য দায়ী জামায় তপু ও মিরাকে তদন- পূর্বক ব্যবস’া গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানান।