শাহজাহান সিরাজ মিঠু, জয়পুরহাট
রোববার জেলার জয়পুরহাট সদর উপজেলার মীরগ্রাম চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চলাকালে শিউলি নামে এক মেধাবী পরীক্ষার্থীর আকস্মিক অকাল মৃত্যু হয়েছে।দুঃখজনক এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত শিউলি জয়পুরহাট সদর উপজেলার পলি কাদোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরীক্ষার্থী ছিল। সে পলি কাদোয়া গ্রামের হতদরিদ্র ভ্যান চালক সিরাজুল ইসলাম ও গৃহবধু আয়শা আখতারের একমাত্র মেয়ে।
জানা গেছে, ওই দিন শরীরে জ্বর নিয়ে অন্যান্য দিনের মত সে সকাল ১০টায় ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে নির্দিষ্ট আসনে সমাপনীর ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা দিচ্ছিল। থাকায় নিয়ে লিখতে লিখেতে দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ শিউলি মাথাঘুরে অসুস’ হয়ে পড়ে। ওই অবস’ায় সাথে সাথে তাকে মোটর সাইকেল যোগে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়ের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে উপসি’ত শিউলিন ভ্যানচালক বাবা সিরাজুল ইসলাম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় তার আহাজারিতে হাসপাতালের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
জানা গেছে,শিউলি বেগম পলি কাদোয়া গ্রামের ভ্যানচালক সিরাজুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে। পঞ্চম শ্রেণীতে ওঠার সময় ক্লাসে তার রোল ছিল তিন। লেখাপড়ায় মেয়ে মেধাবী হওয়ায় সিরাজুলের শখ ছিল মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিত করার। গত বুধবার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরুর পর শনিবার থেকে সে শ্বাসকষ্ট আর জ্বরে আক্রান্ত ছিল। রোববার অসুস’ অবস’ায় সে পরীক্ষা দেয়ার এক পর্যায়ে মাথা ঘুরে পড়ে গেলে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু ঘটে। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মা আয়েশা আখতার ছুটে আসেন মেয়েকে এক নজর দেখার জন্য। এ সময় মেয়েকে দেখেই তিনি মুর্ছা গেলে প্রতিবেশীরা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার আগেই শিউলি’র মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ডা. আব্দুল ওহাব বলেন,‘সম্ভবত শ্বাসকষ্টের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে’।