জয়পুরহাটে নিপা ভাইরাসে বৃহস্পতিবার আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে এ নিয়ে জয়পুরহাটে নিপা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ৫-এ। মৃতব্যক্তির নাম ফেরদৌস আলম (৩৮) । তিনি জয়পুরহাট শহরের গুলশান মোড় এলাকার সাহেব পাড়ার বাসিন্দা। ৪ দিন আগে খেজুরের রস খেয়ে প্রচন্ড জ্বরে গতকাল জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার ডাক্তার তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে পথেই তার মৃত্যু ঘটে। এদিকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের আইসুলেশন ওয়ার্ডে আরো নূতন শিশু ভর্তি হয়েছে বর্তমানে চিকিৎসাধিন রয়েছে ৬ শিশু। এরা হলো মেরিনা(৭), তৌফিক (৫), সজিব(২), সজিব(৪) রিমন(৬), মিম(৫)।
নূতন করে মৃত্যুর ঘটনায় জেলায় আতংক বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার শহরের সবগুলি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও একটি সরকারী রেজিষ্টার্ড স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন জেলায় নিপা ভাইরাসের সংক্রামন থেকে রক্ষা পেতে প্রচার প্রচারনা সহ চিকিৎসা সেবায় সর্বাত্বক সর্তকর্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে বৃহস্পতিবার থেকে শহরের সকল কিন্ডার গার্টেন বন্ধ করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কম্িপউটার কিন্ডার গার্টেন এর প্রধান শিক্ষকা সুফিয়া বেগম জানান, নিপা ভাইরাসের সংক্রামন থেকে রেহায় পেতে অভিভাবকদের অনুরোধে শহরের ১৫টি কিন্ডার গার্টেন এক যোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শহরের সরদারপাড়া ধানমন্ডী সহ কয়েকটি এলাক ঘড়ে দেখা গেছে বেশীরভাগ শিশুর অভিভাবক তাদের সনত্মানদের নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। গৃহবধু রোজী বেগম জানান,‘গত শুক্র ও শনিবার নিপা ভাইরাসে মহল্লার দুই শিশু অনিক ও মরিয়ম মারা যাওয়ার পর থেকে সবার মধ্যে আতংক ছড়ে পরে। তাই এ মহল্লার অধিকাংশ ছেলে-মেয়েরা বাড়ি ছেড়ে আপাতত আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি তার ১০ বছরের শিশু কন্যা সুম্মাকে ননদের বাড়ি পাঁচবিবি উপজেলার আইমারসুলপুর গ্রামে পাঠিয়েছেন একইভাবে পঞ্চাশোর্ধ হাসনাবানু জানান,‘তাঁর কাছে থাকা দুই নাতিকে তিনি আগেই তাদের দাদুর বাড়ি বগুড়াতে এবং ওই মহলস্নার মন্টু মিয়া বলেন,‘চোখের সামনে মহলস্নার দুই শিশুর অকাল মৃত্যুতে আমরা সবায় আতঙ্কিত। তাই তাদের বাঁচানোর জন্য যে যেভাবে পারে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের পাঠাচ্ছেন
এ দিকে ঢাকার মহাখালির আই.ই.ডি.সি.আর ও আই.সি.ডি.ডি.আর.বি থেকে আসা সাত সদস্যের পৃথক দু’টি তদনত্ম দল আক্রানত্ম এলাকা পরিদর্শন ও মৃত শিশুদের পরিবারের সাথে কথা বলা, বর্তমানে জ্বরে ভর্তি হওয়া শিশুদের রক্ত সংগ্রহ সহ বাদুরের বিষ্ঠা সংগ্রহ করেছেন। দলে আসা চিকিৎসকরা হলেন,ডাঃ অপূর্ব চক্রবর্তী,ডাঃ সায়েদ সাজ্জাদ, ডাঃ আহম্মেদ রায়হান শরীফ, ডাঃ সালাহউদ্দিন খান ও ডাঃ আশরাফুল। এ ছাড়া এ দলে দু’জন মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্টও আছেন। এরা ৪ দিন কাজ করে ঢাকায় গেলেও বৃহস্পতিবার আবারো ১ যুবকের মৃত্যুর পর আবোরো ঢাকা থেকে টীম জয়পুরহাট আসছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোজাম্মেল হক।
উল্লেখ্য,গত শুক্রবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যনত্ম ৭ দিনে জয়পুরহাটের নতুনহাট সরদারপাড়া’র একই পরিবারের চাচাতো ভাইবোন অনীক(৭) ও মরিয়ম (৭),চকদাদড়া গ্রামের তৌহিদুল (৮) এবং ক্ষেতলাল উপজেলার ইকরগারা গ্রামের শাকিলা (৯), শহরের গুলশান এলাকার ফেরদৌস আলম(৩৮) সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/এসএম শফিকুল ইসলাম/জয়পুরহাট