পতাকা না বাঁচলে আমি বাঁচি কি করে?
-জেবুন্নেসা সিমী
সজনে গাছটা দাঁড়িয়ে আগের মতোই।
ফুলে ফুলে সাজতে গিয়ে
পল্লব হীন হয়ে
ঘোষণা করে ফলবতী আগামী।
সবুজ কি কখনো নিষ্ঠুর হয়?
বিশাল পাহাড়ও সময়ে বিচলিত হয়,
নিজ অবস্থান নিয়ে।
বিচলিত হতে পারে ঊর্মিমালা।
মেঘেরা নীল থেকে গভীর নীলের উপন্যাসে,
স্রোতেরা কষ্টের লেইকে
অশান্ত পলক।
দিঘীজল বার্ধক্যি প্রিয়ার
ঘোলাটে আঁখি।
এখানে অতীত ভবিষ্যৎ
কিছুই প্রচ্ছদ হয়না।
এখানে স্বপ্ন দেখার আর লোভ নেই।
কোথাও বন পুড়ে
আকাশ নীলচে কালো হয়ে আসে,
এখানে তবুও
ঝরো ঝরো শ্রাবণের
বসন্ত মেঘ থাকার কথা বলে নির্লজ্জ মাছরাঙারা।
পদ্ম বালিকা ভয়ে কুঁকড়ে
ভয়ংকর প্রাসাদে আশ্রয় নেয়
রবির প্রাচীন কবিতার মতন।
তাজা কুড়ি যখন সিংহের থাবায় হয় নিষ্পেষিত,
পতাকা হাতে আলো দেখাবে কোন ভবিষ্যৎ?
তবু আমি তুমি আমরা নিজের মতোই ভালো থাকি?
পার্থক্য কি ;
কোথায় নারী-
শিশু কাঁদে,
কোথায় আদম উচ্ছিষ্ট টানে কুকুর,
কোথায় ছয় বছরের সতিপর্দা কাটে বন্য শুকর!
অথচ এখানেই
বিশ্বসেরা স্বাধীনতার এক
গল্প ছিলো সবুজে।
এসো তবে সবুজ লুটেপুটে খাই।
প্রতিপক্ষের ইচ্ছার রঙের সাথে মৌলিকতা মিশিয়ে দাও।
তারপর দেখো চেনা রঙও কত দ্রুত বদলায়।
তোমার ভালোবাসার শনের কুটিরে
অনিচ্ছার প্রাচীর কেমন একাগ্রতায় বেড়ে উঠবে
ঘৃণা আর কষ্টের ভিত্তি নিয়ে!
এসো মানচিত্র থেকে আমি তুমি নির্বিঘ্নে মেপে নিই
ব্যক্তিগত আত্মসাৎ।
ব্যক্তিগত মৌলিকত্ব থেকেও
স্বার্থপর প্রতি ব্যক্তি।
তবে একটা দর্জি বেশি দরকার!
পতাকা না বাঁচলে আমি বাঁচি কি করে?
লেখক: শিক্ষক, বিঝারি, নড়িয়া, শরীয়তপুর।