ডেস্ক রিপোর্ট:: বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ),বিগব্যাশ, পিএসএল, আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ) ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে আসক্ত হয়ে পড়েছে কমলনগরের তরুণ ও যুবসমাজ। উপজেলার লরেন্স, হাজিরহাট, করইতলা, তোরাবগন্জ বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে, গ্রাম্য দোকানে, হোটেল ক্লাব ঘরে চলছে জুয়ার আসর।
প্রকাশ্যে জুয়া খেলা কমলেও টিভিতে- মোবাইল তা জমজমাট হয়ে উঠছে। এমনভাবে এ জুয়া (বাজি) ধরা হয় বুঝা বড় দায়। জুয়ার ভেটিং ওয়েবসাইটগুলোতে চলে জুয়ার আসর। ভেলকি নামক ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে এ জুয়া সম্পন্ন হয়।
গোপনসূএে জানা গেছে যে, শুধু বিপিএল বাজি সীমাবদ্ধ নয়, এ জুয়া চলে আইপিএল, আন্তজার্তিক ওয়ানডে ক্রিকেট, টি -টুয়েন্টি, টেষ্ট, , সিপিএল, পিসিএল এবং বিগব্যাশ। এ জুয়া শুধু ক্রিকেট এ সীমাবদ্ধ নয় ফুটবল এ জুয়া ধরা হয়। টস কোন দল জিতবে , রান জোড় হবে না বিজোড় হবে, কোন দল জিতবে, কোন বোলার কত উইকেট নিবে, পরবর্তী বোলার হিসাবে কে আসবে এসব বিষয় নিয়া বাজি ধরা হয়।
জুয়া খেলা সাধারণ দুইভাবে হয়। প্রথমত হোটেল বা দোকানে কিংবা ক্লাবে বাজিকররা একসাথে বসে টিভি বা মোবাইল সামনে নিয়া খেলা দেখে নগদ টাকায় বাজি ধরে । টাকার সাথে টাকা লাগায়, ডাবল, রিডবল , লেভেল ইত্যাদি প্রক্রিয়ায়।
দ্বিতীয়ত ঘরে বসে মোবাইল এর মাধ্যমে পরিচিত বা জুয়ার সাথিদের সাথে বাজি ধরে। লেনদেন করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। এ জুয়া হাজার টাকা থেকে শুরু করে লক্ষ পর্যন্ত চলে।
বিভিন্ন পেশার মানুষ এ জুয়ায় আসক্ত। শিক্ষার্থী থেকো শুরু করে ব্যবসায়ীরা এ জুয়ার সাথে সম্পৃক্ত। টাকায় টাকা আসে। লোভের বশবর্তী হয়ে তারা এ জুয়ায় আসক্ত হয়। কেউ হাজার টাকা দিয়া লক্ষ টাকা পায় । কেউ এ জুয়া খেলে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জুয়ায় আসক্ত একজন বলেন, তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে ১ লক্ষ টাকা পেয়েছেন, পরবর্তীতে ঐ ১০ হাজারসহ সব টাকা আবার হেরে যান, বাজি খেলা এখন তার নেশা ও পেশায় পরিণত হয়ে পড়েছে।
কেউ হচ্ছে ফকির, কেউ হচ্ছে লাখপতি।
আবার অনেকে টাকা হারায় নিঃস্ব হয়ে চুরিও নেশার দিকে ঝুকে পড়ছেন।
সচেতন মহলের দাবি জুয়ার এ আসক্তি এবং নেশা থেকে যুবক এবং তরুন প্রজন্মকে বের করতে হলে প্রশাসনের জোরদার অভিযান পরিচালনা করতে হবে। জুয়াড়িদের চিহ্নিত করে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এবং জুয়ার ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। তাহলে জুয়া নামক ভাইরাস এর নির্মূল হবে।