জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
খালেদা জিয়া ছাড়া যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, রাজনৈতিক সচিবের সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাবেক ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এর আগে খালেদা জিয়া ও এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৫ সালের ১৫ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সোনালী ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে।
দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান প্রথম আলো অনলাইনকে জানান, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ওই ব্যাংক হিসাবে প্রচুর অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তে এটাও প্রমাণিত হয়েছে, ওই ফান্ডের অর্থ দিয়ে ট্রাস্টের কোনো কাজ করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।
এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন গত বছরের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে মামলাটি দাখিল করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধ উত্স থেকে অর্থ সংগ্রহ, কাকরাইলে জনৈক সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ৪২ কাঠা জমি কেনায় অনিয়ম এবং ট্রাস্টের নামে জমির নামজারি না করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। খালেদা জিয়ার ওই সময়ে সেনানিবাসের বাসার ঠিকানা ট্রাস্টের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ট্রাস্টের প্রথম ট্রাস্টি খালেদা জিয়া নিজে এবং ট্রাস্টের সদস্য দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো। এই ট্রাস্টের নামে ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি তেজগাঁওয়ে সোনালী ব্যাংকের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন খালেদা জিয়া। হিসাব খোলার পর প্রধানমন্ত্রীর দাপ্তরিক ক্ষমতার প্রভাবে বিভিন্ন অবৈধ উত্স থেকে অর্থ সংগ্রহ ও জমা করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে ওই ট্রাস্টের নামে কোনো ধরনের কার্যক্রম বা লেনদেন করেননি খালেদা জিয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here