জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ মার্চ দিন ঠিক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ দিন ঠিক করেছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
এর আগে সকালে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছান।
এদিকে, ১৪ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ ও বিচারপতি এসএইচ মো. নূরুল হুদা জায়গীরদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল (ডিসচার্জ) খারিজ করে এ রায় দেয়া হয়েছে। ফলে বিচারিক আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই।
গত ২০০৮ সালের ৩ জুলাই খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় এ মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে অভিযোগ করা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট, যার অস্তিত্ব কিনা শুধু কাগজে-কলমে রয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের নামে অভিযুক্তরা ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ মামলাটি বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে। মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রুলটি চূড়ান্ত শুনানির জন্য বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার হাইকোর্ট বেঞ্চে ছিল। এ আদালতে ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে আবেদন করলে ৩০ নভেম্বর তা খারিজ হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
পরে এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তা নিষ্পত্তির জন্য সোমবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ নির্দেশ দেয়। এ সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের মুলতবির আবেদন না করতেও বলা হয়। একই দিন বিচারপতি খন্দকার মূসা খালেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ষ্টাফ রিপোর্টার