স্টাফ রিপোর্টার, ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম

খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালিত হতে যাচ্ছে রবিবার এই উপলক্ষে বিশ্বের সকল খ্রিষ্টান এখন বড়দিন পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ শনিবার মধ্যরাতে ফিলিস্তিনের বেথলেহেমে শুরু হবে ক্রিসমাস পদযাত্রা৷

 প্রতি বছরের ২৫ ডিসেম্বর পালিত হয় খ্রিষ্টীয় ধর্মাবলম্বীদের ক্রিসমাস বা বড়দিন৷ জার্মান ভাষায় এই দিনটিকে বলা হয় ভাইনাখটেন৷ ক্যাথলিক এবং প্রোটেস্ট্যান্ট মতাবলম্বী উভয়ের কাছেই এই দিনটি অত্যন্ত পবিত্র৷ খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসমতে, এই দিন পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিলেন যিশু খ্রিষ্ট৷ তাই দিনটি এত পবিত্র তাদের কাছে৷ বলা বাহুল্য, পশ্চিমা দেশগুলোর মানুষদের কাছে জন্মদিন বরাবরই একটি বিশেষ দিন৷

বড়দিন উপলক্ষে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বেথলেহেমে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ৷ তারা শনিবার মধ্যরাতে ক্রিসমাসের পদযাত্রায় অংশ নেবে৷ এদিকে ভ্যাটিক্যান সিটিতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা৷ দুই বছর আগে সেইন্ট ব্যাসিলিকায় ক্যাথলিক পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে এই দিনটিতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়৷

বড়দিন উপলক্ষে জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ জার্মান প্রেসিডেন্টের বাসভবন শ্লস বেলেভ্যু থেকে দেওয়া এক ভাষণে তিনি দেশবাসী সহ সকলের সুখ সমৃদ্ধি কামনা করেছেন৷ Vorweihnachtliche Feiern in Beirut

Fireworks light the sky over a giant Christmas tree (L) in front of the Mohammad al-Amin Mosque (R), during Christmas celebrations on Martyr's Square in Downtown Beirut, Lebanon, 14 December 2009. The Parade takes part in 'Beirut Celebrates' festivities, initiated by Solidere, Lebanese company for the development and reconstruction of Beirut central district. EPA/WAEL HAMZEH

pixelতবে তাঁর এই বক্তব্যেও উঠে এসেছে সম্প্রতি ইউরোপের আর্থিক মন্দার প্রসঙ্গ৷ গত কয়েক মাস ধরে চলা ইউরো সংকটের ফলে জার্মান নাগরিকদের মধ্যে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে তার বিপরীতে আশার কথা শুনিয়েছেন ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, যে গত কয়েকটি মাস ধরে সরকার এবং বিরোধী দলগুলো ভীষণ চাপের মধ্যে নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ এই অনুভূতি থেকেই আমরা আমাদের ইউরোপীয় এবং অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে সংকট উত্তরণের একটি পথ খুঁজে পাবো৷”

বড়দিনের বার্তায় পারস্পরিক অসহিষ্ণুতা বিশেষ করে বিদেশিদের প্রতি বৈষম্য না করার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট৷ কিছুদিন আগে নব্য নাৎসিদের হাতে বেশ কিছু বিদেশি নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি৷ এই ধরণের ঘটনা সহ্য করা হবে না বলে স্পষ্ট করলেন প্রেসিডেন্ট ভুল্ফ, ‘‘আমাদের এই দেশে বিদেশিদের প্রতি ঘৃণা, সহিংসতা এবং রাজনৈতিক চরমপন্থার কোন জায়গা নেই৷ যারা এই ঘটনার শিকার হয়েছেন তাদের স্বজন এবং বন্ধুদের প্রতি আমরা সহানুভূতি এবং সম্মান জানাচ্ছি৷”

জার্মান প্রেসিডেন্ট বলেন, পারস্পরিক সহিষ্ণুতার চর্চাটি পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে৷ তাহলেই অপরকে গ্রহণ করার অভ্যাসটি আস্তে আস্তে গড়ে উঠবে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here