জামালপুর সদর উপজেলার ৯নং রানাগাছা ইউনিয়নের গোড়ারকান্দা গ্রামে সরকারী জমির উপর নির্মিত একটি পুরনো কাঁচা রাস্তা সন্ত্রাসী কায়দায় কেটে ফেলায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ওই গ্রামের প্রায় ৫-৬শ’ মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। ওই এলাকার লুৎফর রহমান, আব্দুল হক গংরা এমন কান্ড ঘটিয়েছেন বলে এক লিখিত অভিযোগে জানা গেছে।
জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দায়েরকৃত এক লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, গোড়ারকান্দা গ্রামের কান্দাপাড়ার আকতার আলীর বাড়ী হতে সোয়াদ আলীর বাড়ী পর্যন্ত ৯ফুট প্রস্থ ও ২শ’গজ দৈর্ঘ্য ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারী রাস্তার উপর দিয়ে গ্রামের প্রায় শত শত মানুষ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই অবাধে চলাচল ও যানবাহন ব্যবহার করে আসছিল।
কিন্তু সমপ্রতি নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির এবং পূর্ব শক্রতার জের ধরে লুৎফর রহমান, আব্দুল হক গংরা জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় সরকারী জমির উপর নির্মিত রাস্তাটি সম্পূর্ণ কেটে ফেলেছে এবং তারা বর্তমানে সেখানে বোরো ধান লাগিয়েছে।
ফলে, ওই গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।
চরম ভোগানিত্মর শিকার ওই গ্রামের স্কুল ছাত্রী তাসলিমা, সাজেদা, মনিরা, মনির, সাজু, চৈতি, মনিষা, সুমাইয়া, আলিয়া, বন্যা, উর্মি, মীম, আমিনুল, ফারজানাসহ আরও অনেক শিক্ষার্থী ইউনাটেড নিউজ টয়েন্টিফোর ডটকম’র কাছে অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা কেটে ফেলায় বই খাতা নিয়ে আমরা স্কুল যেতে পারছিন না। কাদা পানি পেরিয়ে অন্যের জমির উপর দিয়ে আমরা স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছি।
এছাড়া উজ্জল, আনিছ, মনোয়ারা বেগম, সুফিয়া বেগমসহ আরও অনেকেই জানান, রাস্তা কেটে ফেলার কারণে আমরা বাড়ী ঘর থেকে বাইরে যেতে পারছি না।
মঙ্গলবার ৯নং রানাগাছা ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল কবীর আকন্দ সোহাগ ও ইউপি মেম্বার রিপন’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, রাস্তাটি আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
এদিকে, রাস্তা পুন:রুদ্ধারে এলাকাবাসী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ছাইদুর রহমান/জামালপুর