ছাইদুর রহমান, জামালপুর
শুক্রবার দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা পশ্চিম বাজারে বসবাসকারী গেদু মিয়ার ছেলে ফরিদ (২০) এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর রহস্য নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের বাবা গেদু মিয়া জানান,আমাদের প্রকৃত বাড়ী লক্ষ্মীরচর হলেও বেশ কিছুদিন ধরে আমরা স্বপরিবারে নান্দিনা পশ্চিম বাজার বাদেচান্দি মোড়স’ আব্দুল্লাহ আল মামুনের তামাক পাতার মিলের এক কোনায় ছাপড়া ঘর উঠিয়ে অস’ায়ীভাবে বসবাস করে আসছি। এবং দিন মুজরি করে সংসার চালাচ্ছি।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার সময় আমার একমাত্র ছেলে ফরিদ (২০) ঘর থেকে বাইরে বের হয়। যাওয়ার সময় বলে আমার কাজ আছে ফিরতে দেরি হবে।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১২টার সময় বাদেচান্দি গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম ও তার আরও কয়েকজন বন্ধু বাদেচান্দি পশ্চিম পাড়া রেল লাইনের পাশ থেকে ফরিদকে গুরুত্বর আহত অবস’ায় উদ্ধার করে নান্দিনাস’ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কিন’ সেখানকার ডাক্তার ফরিদকে ফিরিয়ে দেয়। পরে একটি সিএনজি করে তারা ফরিদকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে শুক্রবার দুপুরে সে মারা যায়।
নিহত ফরিদের বাবা গেদু মিয়া ও পরিবারের অন্যান্যরা এই প্রতিনিধির কাছে বলেন, আমরা ফরিদের নাকে ও পায়ের গোড়ালিতে প্রচন্ড আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। নাক দিয়ে প্রচুর রক্ষ বের হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাদেচান্দি গ্রামের আবুলের ছেলে রাশেদুলসহ আরও কয়েকজন তাকে গুরুত্বর আহত অবস’ায় আমাকে ঘটনাটি না জানিয়েই আমার ছেলে ফরিদকে নান্দিনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে । কিন’ আঘাত গুরুত্বর বলে নান্দিনা জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারগণ সেখান থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে রাশেদুল ও তার সঙ্গীরা একটি সিএনজিতে জামালপুরে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার বাড়ীর সামনে এসে তারা আমাকে খবর দিলে আমি ফরিদের সাথে জামালপুর গেলে রাতেই তারা হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস’া করেন। কিন’ ফরিদকে রেল লাইনের পাশ থেকে উদ্ধার থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল পর্যন্ত ভর্তির ব্যবস’া ও ওষধপত্রের কোন খরচ আমাকে তারা দিতে দেয়নি। সব টাকা রাশেদুল ও তার বন্ধুরাই দিয়েছে।
এদিকে, ফরিদ মারা গেলে হাসপাতাল থেকেই সদর থানা পুলিশের কাছে এ সংক্রান্ত খবর দেওয়া হলে পুলিশ নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
ফরিদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে তার বাবা গেদু মিয়াকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ইউনাইটেড নিউজ টয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কিভাবে আমার ছেলে মারা গেল আমি তা জানিনা। তার কোন শক্রু ছিলনা।
এলাকার একপক্ষ বলছেন, ফরিদ নেশাখোর ছিল। নেশা খাওয়া নিয়ে তার বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতে পারে। আর এরই জের ধরে তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়ে থাকতে পারে।
আবার অন্য পক্ষ বলছে, মাতাল অবস’ায় ফরিদ রেল লাইনে পড়ে আহত হয়েছেন।