চলতি মৌসুমে জামালপুরে মরিচের ফলন অন্যান্য বছরের চেয়ে তুলনামূলক ভালো হয়েছে। এবার যে সব কৃষক শীতকালীন সবজি বিশেষ করে বেগুন, টমেটোর আবাদ করে বিপুল অংকের লোকসানের মুখে পড়েছেন সেসব কৃষক মরিচের আবাদ করে লোকসানের বোঝা কিছুটা উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

জেলা কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় মোট ১২ হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। গত বছর এর লড়্গ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার হেক্টর। গতবারের চেয়ে এবার ১ হাজার হেক্টর জমিতে বেশি মরিচের আবাদ হয়েছে।

সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর গ্রামের মরিচ চাষি আকবর আলী, চানু মিয়া, কফিল উদ্দিন, বকুল হোসেন, আঙ্গুর, ফিরোজ মিয়া, চাঁন মিয়া ও সোহাগ জানান, এক বিঘা জমিতে মচির আবাদ করতে সব মিলিয়ে খরচ হয় ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় কাঁচা অবস্থায় মরিচের ফলন পাওয়া যায় ৪০ থেকে ৫০ মণ। আর শুকনো করলে পাওয়া যায় ৭ থেকে ৮ মণ।

বর্তমানে মেলান্দহ, ইসলামপুর ও সদরের কেন্দুয়া, হাজিপুর এলাকার চাষিরা তাদের ড়্গেত থেকে নতুন কাঁচা মরিচ তুলে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি শুরম্ন করেছেন। খচরা এক কেজি কাঁচা মরিচ বর্তমানে ৪০-৪৮টাকা এবং শুকনো দুই থেকে আড়াই শ’টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী হিসেবে প্রতি মণ কাঁচা বিক্রি হচ্ছে ১৫শত থেকে ১৬ শ’টাকা। এবং শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ৮হাজার টাকায়।

চরের মরিচ চাষিরা জানান, গত বছর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে কাঁচা মরিচ খুচরা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ১৬ থেকে ২০ টাকা। এবার বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৮ টাকা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলেও এবার জেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষিবিদরা মনে করছেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ছাইদুর রহমান/জামালপুর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here