ছাইদুর রহমান, জামালপুর
বৃহস্পতিবার জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভারতীয় সীমান্তে অপহৃত যুবক আবদুল লতিফ লেবু(৩৫)’র লাশ দাফন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারী কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বাঘভান্ডার সীমানে-র জিরোলাইন ঘেঁষে ভারতের নোম্যান্সল্যন্ড থেকে তাকে জীবিত অবস’ায় লেবুকে বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে যায় এবং ৯ দিন পর আবদুল লতিফ লেবুর মৃতদেহ ফেরত দেয় ভারতীয় পুলিশ।
বুধবার বিকেলে বিজিবি এবং বিএসএফের উপসি’তিতে ভারতের দিনহাটা থানার পুলিশ ভুরুঙ্গামারী থানার পুলিশের নিকট লাশ হস-ান-র করে।
তিন পুত্র সন-ানের জনক লেবুর লাশ সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে পৌঁছলে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামের মানুষের আহাজারীতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। জানাজা নামাজে জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও পৌর মেয়র ফয়েজুল কবীর তালুকদার শাহীনসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়।
নিহতের পরিবার জানায়, লেবুর বড় ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী, মেজো ছেলে ক্লাশ সেভেনে পড়ে। দেড় বছরের ছোট ছেলে নিয়ামুল বুঝতেই পারেনি তার বাবা বেঁচে নেই। লেবুর স্ত্রী নার্গিস বেগম স্বামীর লাশ বুঝে নেয়ার পর থেকেই নির্বাক।
ভবানীপুর গ্রামের মৃত গাজীউর রহমান এবং মৃত রাবেয়া বেগমের তিন ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে আবদুল লতিফ লেবুকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যরা দিসেহারা। লেবুর ভাই লেজু এবং সুলতানের সাথে কথা বলতে গেলে বারবার তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। দিশেহারা স্ত্রী নার্গিস বেগম বাকরুদ্ধ।
উল্লেখ্য, লেবু রাজনীতির পাশাপাশি সাইনবোর্ড লেখাসহ পেইন্টারের কাজ করতো। গত ১৪ জানুয়ারী ডোয়াইল বাজার এলাকার মৃত ময়েন উদ্দিনের পুত্র স’ানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ উদ্দিন ফকির বেড়াতে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানায়। লেবু লাশ হয়ে ফিরে এলেও ফকির এখনো বাড়ী ফেরেনি।