ডেস্ক রিপোর্ট::  রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনের শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এ আবেদনের সঙ্গে জামায়াতের আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানিও ওইদিন হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী তানিয়া আমীর।

তানিয়া আমীর বলেন, আজ (২৪ আগস্ট) আবেদন দুটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার ২২ নম্বর ক্রমিকে ছিল। ক্রম অনুসারে শুনানির জন্য দাঁড়ালে আদালত বলেন, আজ শুনানি হবে না (নট টুডে)। আগামী ৩১ আগস্ট তারিখ দিয়েছেন।

তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন (রিটকারী) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করার পর গত ২৬ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। সে ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগস্ট আবেদন দুটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। এর মধ্যে ৪২ ব্যক্তি আবেদন দুটিতে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন। এই ৪২ ব্যক্তির মধ্যে আছেন, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, অধিকার কর্মী, আইনজীবী।

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। এর পরের বছরই বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সে রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াত ইসলামী আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করলে ওই বছর ৫ আগস্ট তা খারিজ হয়। পরে ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। সে আপিলে পক্ষভুক্ত হয়ে জামায়াতের নিবন্ধনের পক্ষে গত ১ আগস্ট আবেদন করেন ৪৭ ব্যক্তি।

হাইকোর্টের রায়ের পর ওই সময় বিএনপির জোটের শরিক দল জামায়াতের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দশম, একাদশ সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১৭ সালের মার্চে জামায়াতের জন্য বরাদ্দ মার্কা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট জারি করে নির্বাচন কমিশন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here