‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘প্রজাপতি মেলা-২০১১’। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রজাপতির ভূমিকা তুলে ধরে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হবে বলে আয়োজক সূত্রে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রানিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার আয়োজনে এ মেলায় থাকছে প্রজাপতির উপর ফটোগ্রাফি কম্পিটিশন, আলোকচিত্র প্রর্দশনী, বাটারফ্লাই হাট, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, প্রজাপতির ঘুড়ি উড়ানো, সম্মাননা প্রদান, সল্পদৈঘ্যের চলচিত্র প্রর্দশনী।
মেলা উপলক্ষে দৃষ্টিনন্দন এ প্রতঙ্গটির বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রানিবিদ্যা বিভাগের ছাদে ও বিভাগের সামনের বাগানে পরিকল্পিভাবে তৈরি করা হয়েছে ‘প্রজাপতি ঘর’। এ প্রজাপতি ঘরে কৃএিম ভাবে প্রজাপতি প্রজনন ঘটিয়ে ক্যম্পাসে অবমুক্ত করা হচ্ছে। যা ক্যম্পাসের সৌন্দযকে আরো বৃদ্ধি করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নিরলসভাবে প্রজাপতি নিয়ে গবেষণা করছেন।
১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথম এ গবেষণার কাজ শুরু হয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, তার একক গবেষণায় এ পর্যনত্ম মোট ১৫০টি প্রজাতি প্রজাপতির শনাক্ত হয়েছে।
অধ্যাপক মনোয়ার বলেন, বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার অধীনে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতি সমপ্রতি ক্যাম্পাসে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এ পর্যনত্ম বাংলাদেশে প্রজাপতির প্রায় ২০০টি প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো ‘পেস্নইন টাইগার’, ‘কমন ক্রো’, ‘পস্নাম জুডি’, ‘ডিঙ্গি বুশব্রাউন’, ‘কমন ডাফার’, ‘এপফ্লাই’, ‘পি বস্নু’, ‘টাইনি গ্রাস বস্নু’, ‘ওক বস্নু’, ‘কমন সেইলর’, ‘কমন রোজ’, ‘বস্নু মরমন’, ‘স্ট্রাইপড অ্যালবাট্রস’, ‘মটিলড ইমিগ্রান্ট’, ‘কমন গ্রাস ইয়েলো’, ‘স্ট্রাইপড পাইরট’, ‘মানকি পাজল’, ‘বস্নু প্যানসি’ ও ‘পেইন্টেড লেডি’, ‘স্ট্রাইপড পাইরট’, ‘মানকি পাজল’, ‘বস্নু প্যানসি’ ও ‘পেইন্টেড লেডি’ ।
সহযোগী অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন আশংকা প্রকাশ করে বলেন, প্রজাপতির নতুন নতুন প্রজাতির সন্ধান মিললেও দেশে প্রজাপতির সংখ্যা দিন দিন কমছে। বনভূমি কমে যাওয়ায় প্রকৃতির এই অলঙ্কারটির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।
সহযোগী অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন প্রজাপতি সংরক্ষণে দাবি জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে প্রজাপতির সবক’টি প্রজাতির তালিকা তৈরির পাশাপাশি এদের সংরক্ষণে সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর এগিয়ে আসা উচিত।
‘প্রকৃতি ও জীবন’ ফাউন্ডেশন সংগঠনের সহযোগীতায় এবারের মেলায় স্পন্সর করেছে একে এক্সেসরিজ প্রাইভেট লিমিটেড ও একে কম্পিউটারাইজড লেভেলস্ লিমিটিড। গতবছরের ন্যায় এবারো মিডিয়া পার্টনার হয়েছে বেসরকারী স্যাটেলাইট চ্যানেল ‘চ্যানেল-আই’।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/জাহিদ সুলতান লিখন/জাবি