জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ হত্যার ঘটনায় ছাত্র শৃংখলা অধ্যাদেশের ৪ ও ৫ নং ধারা অনুযায়ী ৭ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার এবং ছাত্রত্ব বাতিলসহ ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ও অপর ৬ শিক্ষার্থীকে বহিস্কারসহ ২ বছরের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল ও এই দুই বছর ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার বিকাল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক এ তথ্য জানান। বহিস্কারসহ ছাত্রত্ব বাতিল ও ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত শিড়্গার্থীরা হল, খন্দকার আশিকুল ইসলাম(প্রানিবিদ্যা বিভাগ), রাশেদুল ইসলাম রাজু(দর্শন বিভাগ), খান মো: রইছ(প্রানিবিদ্যা বিভাগ), জাহিদ হাসান(প্রানিবিদ্যা বিভাগ), ইসতিয়াক মেহবুব অরুপ(দর্শন বিভাগ), মাহবুব আকরাম(সরকার ও রাজনীতি বিভাগ), নাজমুস সাকিব তপু(প্রান রসায়ন ও অনুপ্রান বিজ্ঞান বিভাগ)। বহিস্কারসহ ২ বছরের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল ও এই দুই বছর ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত শিক্ষার্থীরা হল, মাজহারম্নল ইসলাম(ইতিহাস বিভাগ), কামরুজ্জামান সোহাগ(দর্শন বিভাগ) নাজমুল হুসেইন প্লাবন (লোক প্রশাসন বিভাগ), শফিউল আলম সেতু(পরিসংখ্যান বিভাগ), অভিনন্দন কুন্ডু (পরিসংখ্যান বিভাগ), মো: মাহমুদুল হাসান মাসুদ (ইতিহাস বিভাগ)। বহিস্কৃত সকল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ তম ব্যাচ ও ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সিন্ডিকেটে জুবায়ের ক্ষতি পূরন বাবদ ২ লক্ষ টাকা অনুদান ও তার পরিবারের একজন সদস্যকে যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় চাকুরি দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। শিক্ষক সমিতির সাধারন সভায় সংঘর্ষের ঘটনায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাসির উদ্দিনকে দিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে সল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন ও পুরাতন মেডিকেল ভেঙ্গে নতুন মেডিকেল তৈরির সিদ্ধান্ত সহ একটি আধুনিক এম্বুলেন্স সংগ্রহের সিদ্ধান্তসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোড়দার করা, প্রক্টর অফিসে জনবল বাড়ানো, নিরাপত্তার সরঞ্জাম, ভিজিলেন্স, টহল টিম, নিরাপত্তা বাতি বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া জুবায়ের হত্যা কান্ডের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) মো: হামিদুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে যে মামলা হয়েছিল সে মামলায় অপর ১০ জন শিক্ষার্থীর (বহিস্কৃত) নাম অন্তভূক্ত করার জন্য পুলিশ প্রসাশনকে বলা হয়েছে। বহিস্কার আদেশ প্রজ্ঞাপন জারির সাথে সাথে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

এদিকে সন্ত্রাসের বিরম্নদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ও শিক্ষক সমাজের ব্যানারে আন্দোলনরত সাধারন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা  সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্তকে প্রতারনা বলে দাবি করেছে। এবং তারা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে। শিক্ষক সমাজের একাধিক শিক্ষক জানায় সিন্ডিকেট বিকাল ৫ টায় হওয়ার কথা থাকলেও আমরা ৪ টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে এসে শুনি যে সিন্ডিকেট হয়েছে দুপুর সাড়ে ১১ টায় এটা প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই না।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/জাহিদ সুলতান লিখন/জাবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here