
তিনি বলেন, যে ছয়জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে তারা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দু’টি বাসের মালিক শাহাদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং দুই চালকের দুই সহকারী এনায়েত হোসেন ও কাজী আসাদ।
এদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন মালিকানাধীন বাসটির চাপায় দুই শিক্ষার্থী মারা যায়। কাজী আসাদ ও জাহাঙ্গীর আলম এখনো পলাতক।
গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনের বিপরীত পাশের জিল্লুর রহমান উড়ালসড়কের ঢালের সামনের রাস্তার ওপর জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাস রেষারেষি করতে গিয়ে একটি বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের ওপর উঠে পড়ে।
এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত ও নয়জন আহত হয়। নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো- দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬)। নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
মিরপুর ও বরগুনায় অভিযান চালিয়ে জাবালে নূরের তিন বাসের তিন চালক এবং তাদের দুই সহযোগী এনায়েত ও রিপনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাব-১।
এরপর গত ১ আগস্ট সন্ধ্যায় র্যাবের পক্ষ থেকে জাবালে নূরের বাসের মালিক শাহাদাত হোসেনকে (৬০) গ্রেপ্তারের খবর জানানো হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জনকে পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ।