স্টাফ রিপোর্টার :: পরপর দুটো চাঁদাবাজির ও একটি চুরির মামলার পর আশুলিয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দুটি প্রতিষ্ঠানে একযোগে অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে সহায়তা করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ রাসেল হাসান এবং সাভার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব কুমার ঘোষ।
র্যাব-৪ সাভার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আব্দুল হাকিম জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযান শেষে এক ব্রিফিংয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিউটিক্যালে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন ল্যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ রোম্যাটারিয়াল্স দিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করায় ট্রাস্ট্রিকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ল্যাবটি সিলগালা করা হয়েছে।
এছাড়া গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালের লাইসেন্স থাকায়, অপারেশন বিভাগের সরঞ্জামাদি পুরাতন ও প্যাথলজি বিভাগের বিভিন্ন দোষত্রুটির জন্য ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি লাইসেন্স করার জন্য এক মাসের সময় দেয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
তিনি বলেন, এটা তাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ। এ অভিযান যে কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতালে অব্যাহত থাকবে।
এর আগে আশুলিয়ায় জমি দখলের চেষ্টা, ভাঙচুর, চুরির অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর উচ্চ আদালত থেকে এই তিন মামলায় আগাম জামিন নিয়েছেন তিনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের বিষয়ে জাফরুল্লাহর সঙ্গে তিন মামলার আসামি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন জানান, দ্রুততার সঙ্গে এসব ঘটনা ঘটে চলেছে যে, কোনটির বিষয়ে তিনি মন্তব্য করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না।