কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়-গভ. ল্যাবরেটরী হাই স্কুলের ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল মাঠে গড়াচ্ছে ইসলামী ব্যাংক জাতীয় স্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতা। সারা দেশের ৪ হাজার ৮শ’ স্কুল নিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে এ প্রতিযোগিতা। প্রথমে ঢাকা মহানগরের ৭০টি স্কুল নিয়ে শুরু হলেও পরে একযোগে সারা দেশে শুরু হবে এ ফুটবল টুর্নামেন্ট।
চলবে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। দেশের সর্ববৃহৎ এ ফুটবল যজ্ঞে ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে কো-স্পন্সর হিসেবে এগিয়ে এসেছে প্ল্যান বাংলাদেশ। তারা এই প্রতিযোগিতার জন্য ১০ হাজার ফুটবল দিচ্ছে আয়োজক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১ হাজার ফুটবল হস্তান্তর করলে প্ল্যান বাংলাদেশ।
বাফুফে ভবনে প্ল্যান বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টিম জাহিম হোসেন স্কুল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের কাছে এই বল হস্তান্তর করেন। বাকি ৯ হাজার বলের মধ্যে ৪ হাজার ৪/৫ দিনের মধ্যে স্কুল কমিটির কাছে পৌঁছে যাবে। আর বাকি ৫ হাজার বল আগামী জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে দেয়া হবে বলে জানান টিম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর।
গতকাল বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্ল্যান বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টিম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘প্ল্যান বিশ্বাস করে যে, খেলাধুলা শিশুর শারীরিক-মানসিক-সামাজিক ও আবেগত চিত্ত বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সে কারণেই স্কুলের বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের স্বার্থে এ ফুটবল টূনামেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি আমরা। প্রথম একটু সমস্যার মধ্যে ছিলাম। সময়মতো বল হস্তান্তর করতে পারবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। অবশেষে আজ (গতকাল) এক হাজার বল দিতে পেরে ভাল লাগছে। আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাকি বলও স্কুল কমিটির কাছে দিতে পারবো।’ স্কুল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘দশ হাজার ফুটবল এবং ১ লাখ ফুটবলার একসঙ্গে মাঠে নামবে এটা বিরল দৃষ্টান্ত।’
বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায় স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টে সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য প্ল্যান বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে ১০ হাজার বলের রাজস্ব মওকুফ করার জন্য ধন্যবাদ জানান বিনিয়োগ বোর্ডকে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আসলাম, বাফুফের সদস্য সত্যজিত দাস রুপু, ফজলুর রহমান বাবুল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ফারহানা হক।