৩ শে নভেম্বর বুধবার সাউথশীল্ডের আশা বালটি রেষ্টুরেন্টে আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির যুক্তরাজ্যস্থ সাউথশীন্ড শাখার আহবায়ক উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির কেন্দ্রীয় আহবায়ক এ এন এম ঈসা বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বিভিন্ন প্রতিকুলের সুযোগ নিয়ে ভারত ফারাক্কা বাধ দিয়ে হাতে না মেরে পানিতে মারার যে পরিক্লপনা নিয়েছে তার দাত ভাঙ্গা জবাব এবার দেখবে ভারত। আমরা যে কোন উপায়ে টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ করব। টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ প্রবাসীরা। “যার যা কিছু আছে তা নিয়ে টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধে ঝাপিয়ে পরতে হবে। জনাব ঈসা ব্যখ্যা করেন কি ভাবে ভারত আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে।
জাতিসংঘ নীতিমালা (১৯৯৭)
১। UNEP Convention on Biological Diversities, 1992
– পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ বিশ্বের পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২। Ramsar Convention on Wet Lands 1971
Arranged by UNESCO
পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ প্রকৃতি এবং জলজ জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য জলাভূমি রক্ষা করতে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ।
৩। World Commission on Dams (WCD) 1998, Established by World Bank and IUCN
কোন নদীতে বড় ড্যাম তৈরী করতে চাইলে সেই নদী বেসিনের মানুষের কাছে অবশ্যই এই ড্যামের গ্রহণযোগ্যতা (Peoples’ Acceptance) নিশ্চিত করতে হবে। (এখানে প্রনিধানযোগ্য যে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নয় জনগণের গ্রহণযোগ্যতা প্রয়োজন)
বিঃ দ্রঃ কোন ড্যামের উচ্চতা ১৫ মিটারের বেশী হলে এবং জলাধারের ধারণ ক্ষমতা ৩ মিলিয়ন কিউবিক মিটারের বেশী হলে WCD একে বড় ড্যাম হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে যে টিপাইমুখ বাঁধ উপরে উলেখিত বড় বাঁধের সংজ্ঞার চাইতে ১১ গুণ বেশী উচু এবং এর জলাধার ৫০০ গুণ বেশী বড়।
তিনি বলেন ভারতের একতরফা এবং এত অন্যায়ের পর ঘরে বসে থাকতে পারবে না কোন দেশ প্রেমিক। তিনি দল মত নির্বিশেষ মরন ফাদ টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ করতে সকলকে আহবান জানান।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যস্থ সাউথশীন্ড শাখার আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ ফারুক ও গোলাম হুসেইন আনয়ার মিয়া, আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির সান্ডারল্যান্ড শাখার আহবায়ক জনাব সৈয়দ খালেদ মিয়া অলিদ ও আব্দুস সালাম রাজা, সাউথশীল্ডের ছাবির আহমদ মজনু প্রমুখ।
আন্তর্জাতিকক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির যুক্তরাজ্যস্থ সাউথশীন্ড শাখার আহবায়ক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, টিপাইমুখ বাধ আমাদের প্রান প্রিয় সিলেটের জ্বীব বৈচিত্রকে ধ্বংশ করে দিবে সুতরাং এখন আর ঘরে বসে থাকা যায় না। জনাব গোলাম হোসেইন আনয়ার মিয়া বলেন এ সমস্যা আমাদের জাতী সমস্যা তাই সকলকে দলমত নির্বিশেষে এগিয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির যুক্তরাজ্যস্থ সান্ডারল্যান্ড শাখার আহবায়ক জনাব সৈয়দ খালেদ মিয়া অলিদ বলেন ফারাক্কা তিস্তার কারণে বাংলাদেশের খুবই ক্ষতি হচ্ছে তাই কোন অবস্থাতেই টিপাইমুখ বাধ সমর্থন করা যায় না। আব্দুস সালাম রাজা বলেন, ভারত কোন সময়ই আমাদের বন্ধু মনে করে না। তারা মনে করে তারা প্রভু সুতরাং ভারতকে বুঝিয়ে দিতে হবে বাংলার বাঘের বৈশিষ্ট। জনাব ছাবির আহমদ মজনু বলেন বাঙ্গালীরা যখনই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখনই বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। সুতরাং আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সভায় বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে কমিটি গঠন করে সাড়্গর সংগ্রহ করতে অনুরোধ করা হয় এবং কমিটির তালিকা আমাদের কাছে পাঠালে আমরা মুল আবেদনের সাথে যুক্ত করব যা ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। জালিয়াতি থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়। সভায় আরও বলা হয় ভারত ঘোষনা দিয়েছে যে কোন মূল্যে টিপাইমুখ বাধ দিবে। ভারতের এই উক্তি দেখে আমরা খুবই বিস্মীত। টিপাইমুখ বাধঁ ভারত যেখানে করতে চায় সেই এলাকাটি বিশ্বের সর্বাধিক ভূমিকম্পন ঝুকিপূর্ণস্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাই যে কোন সময় ভূমিকম্পের ফলে বাঁধ ভেঙ্গে পানির স্রোতে ভেসে যেতে পারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লিলাভূমি বৃহত্তর সিলেটের অববহিকা। সকলেই বানের স্রোতে ভেসে যেতে হবে। সুতরাং বাংলাদেশকে রক্ষার প্রশ্নে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বাঁধ নির্মানের বিরম্নদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তানা হলে জাতীয় জীবনে ফরাক্কার মতো আরও একটি অভিশাপ নিয়ে টিপাইমুখ বাধঁ আমাদের জাতির অস্থিত্ব বিপন্ন করে ফেলবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরম্ন করে সর্বদাই ভারত আমাদের বন্ধুর পরিচয় দিয়েছে। তাই বন্ধুসুলোভ ব্যবহার করবে এটাই কাম্য অবশ্যই প্রভুর ন্যায় নয়।
এখানে উল্লেখ্য গত ২১শে নভেম্বর সমবার বিকালে আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির যুক্তরাজ্যস্থ নিউক্যাসেল শাখার আহবায়ক হাজী মতলিব মিয়ার উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয় ম্যানচেষ্টারে নিযুক্ত সহকারী হাই কমিশনার জনাব জকি আহাদ সাহেবকে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির যুক্তরাজ্যস্থ নিউক্যাসেল শাখার যুগ্ন আহবায়ক জনাব হাজী মোগল মিয়া, সর্বজনাব সৈয়দ মাছুদ আহমদ, হারুন মিয়া, হাজী রমজান উল্লাহ, মনওয়ার কোরেশী, তুহীন চৌধুরী, লিজু আহমদ, ছইদুল মিয়া, সৈয়দ মাহফুজুল ইসলাম, সহীদুল ইসলাম, মো: সরওয়ার আহমদ, কে ইসলাম, সৈয়দ ছুলুল আহমদ, বসরুক আলী জায়গীরদার, আব্দুল করিম, আলী আকবর, দরছ মিয়া, নিউক্যাসেল বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের অর্ন্তবর্তী চেয়ারম্যান জনাব মাহতাব মিয়া, সাবেক সাধারন সম্পাদক জনাব মজিবুর রহমান মধু প্রমুখ।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/প্রসাবী