দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন সার্কের শীর্ষ সম্মেলনে শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে৻
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বলেছেন, বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশ্নে জোটগত অভিন্ন অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বাংলাদেশ।
তবে পরিবেশবাদীদের অনেকেই বলেছেন, এর আগেও সার্ক কয়েকবার এ ব্যাপারে একমত হয়েছিল, কিন্তু তার বাস্তবায়ন হয়নি৻
মালদ্বীপ থেকে টেলিফোনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, ভুটানসহ এই অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষে সমর্থন বাড়ানোটাই মূল লক্ষ্য৻ তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ সম্মেলনেও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যূতে অভিন্ন অবস্থান নেওয়ার বিষয় উঠেছিল। সুত্র : বিবিসি
তবে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করেন, তাদের অনেকেই বলেছেন, সার্ক শীর্ষসম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলো নিজেদের বিষয়কে যতটা গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করতে চাইছে, তাতে ভারত বা পাকিস্তান কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৻
গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের ডঃ কাজী খলীকুজ্জামান আহমাদ বলেন, এর আগেও সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যূতে ঐকমত্য হয়েছে কিন্তু বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি৻
“বাংলাদেশের মত দেশের তুলনায় ভারত অনেক বেশি গ্রীনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ করছে। সেখানে ভারসাম্য আনার ক্ষেত্রে কোন ঐকমত্য হওয়ার সম্ভাবনা কম।“
এর আগেও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যূতে ঐকমত্য হয়েছে কিন্তু বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ নেই৻
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সার্ক সম্মেলনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রশ্নে কোন সমাধান খুঁজছে না।
“বরঞ্চ সমাধানের পথ খুঁজতে উন্নত দেশগুলো উপর যাতে একটা চাপ তৈরি করা যায়, সেজন্য বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে সবধরনের ফোরামকে ব্যবহার করে একটা বার্তা তুলে ধরতে চায়। সার্ক শীষ সম্মেলনেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষে অভিন্ন অবস্থান বেরিয়ে আসবে৻ সেটাই এখন বাংলাদেশের টার্গেট।“
নভেম্বরের ১০ এবং ১১ই তারিখে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৻
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নিউজ ডেস্ক