ছায়ানটস্টাফ রিপোর্টার :: যুগ যুগ ধরে বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। নববর্ষ আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য। এবারো ঐতিহ্যগতভাবে হাজারো কণ্ঠে গান গেয়ে বাংলা নতুন বছর ১৪২৫ সালকে বরণ করে নিল বাংলাদেশের অন্যতম সংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।

ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান’। তাই এবার গানের তালিকায় স্থান পেয়েছে মানবতা, দেশপ্রেম ও উদ্দীপনামূলক কালজয়ী গান।

শনিবার সকাল সোয়া ৬টায় সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই রমনার বটমূলে ছায়ানটের উদ্যোগে শুরু হয় বর্ষবরণের প্রভাতী আয়োজন। হলুদ সবুজ পোশাকে দেড় শতাধিক শিল্পী তাদের সুর-ছন্দ আর তাল-লয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। ৫১ বছরে পা রাখা ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছায়ানটের এই আয়োজনের প্রতিপাদ্য ‘আনন্দ, আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও মানবতা।’

ছায়ানটের শিল্পী-কর্মীদের জন্য বটমূল সংলগ্ন সামান্য জায়গা ছাড়া প্রায় গোটা প্রাঙ্গনই উন্মুক্ত সবার জন্য। বটমূলের বর্ষবরণ আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে সার্বক্ষণিক সহায়তা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ছায়ানটের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভোর থেকে হাজারো মানুষ ভিড় করে রমনা বটমূলে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুরো রমনা হয়ে যায় লোকে লোকারন্য।

কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী নিরাপদ করে তুলেছে বর্ষবরণের জন্য আসা শিশু থেকে তরুণ-তরুণী-অবাল-বৃদ্ধ-বণিতাসহ সকল বয়সের মানুষকে। পুরুষরা সাদা পাঞ্জাবি আর নারীদের সাদা শাড়িতে লালপাড় বর্ণিল করে তুলেছে রমনার সবুজ উদ্যান।

শিল্পীদের গানের তালে তালে মনের সকল জীর্ণতাকে মুছে ফেলে নতুন বছরে নিজেদের নতুন করে সাজানোর গল্প আঁকতে থাকেন উপস্থিত বৈশাখ বরণকারীরাও।

বরাবরের মতো এবারের আয়োজনটিও সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার।

প্রসঙ্গত, পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে প্রতি বছরই রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানট আয়োজন করে বর্ষবরণের উৎসব। নববর্ষের প্রথম দিন ভোর থেকে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসতে থাকে মানুষ। ঐতিহ্যবাহী এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভিড় জমায় অনেক বিদেশি দর্শণার্থীও।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here