চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হওয়া ছাত্র শিবির কর্মী মুজাহিদুল ইসলাম জাহেদকে জানাযা ছাড়া দাফনের চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশ। প্রত্যেকটি রাস্তার প্রবেশ মূখে পুলিশ পাহারা বসিয়ে জানযার নামাজে আসা মুসল্লিদের বাধা দিয়েছে মীরসরাই থানা পুলিশ। কিন’ এলাকাবাসীর চাপের মুখে পরে জানাযা দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে ময়না তদন্ত শেষে মুজাহিদের লাশ তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার ৯ নম্বর মীরসরাই সদর ইউনিয়নের পূর্ব কিছমত জাফরাবাদ গ্রামের মীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় পুলিশ পাহারায়। এরপর মীরসরাই থানা ও নিজামপুর ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ঘেরাও করে ফেলে জানাযায় যাওয়ার সকল পথগুলো। বৃহস্পতিবার সকালে জাহেদের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসার পর বিভিন্ন স’ান থেকে তার আত্নীয়-স্বজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সহপাঠি ও এলাকার লোকজন তার জানায়ায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় পুলিশের সাথে জানাযায় অংশ নিতে আসা লোকজনের বাকবিতন্ডা হয়। নিরূপায় হয়ে তারা মুসল্লিরা বিকল্প পথ-জমি দিয়ে জাহেদের জানাযায় অংশগ্রহণ করে। পুলিশের এমন আচরণে সর্বত্রই সমালোচনার ঝড় উঠে। জানাযায় আসা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাবেদ বলেন, দেশের ইতিহাসে এরকম ঘটনা আর দেখিনি। মৃত মানুষের জানাযায় অংশ নিতে পুলিশ বাঁধা দেয় এটা এই প্রথম দেখলাম।
পুলিশের বাধা দেয়ার কথা স্বীকার করে মীরসরাই পৌরসভার সাবেক প্রশাসক আজহারুল হক চৌধুরী নওশা মিয়া বলেন, জানাযায় আসা লোকাজন পুলিশি বাধার কারণে মুল পথ দিয়ে আসতে পারেনি। তারা বিভিন্ন বিকল্প পথ দিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
এ বিষয়ে মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল বিভিন্ন স’ান থেকে শিবিরের লোকজন আসবে। তাই কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য লোকজনকে চার্জ করেছি। তবে বাধা দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
ফখরুল ইসলাম রিয়াজ, মীরসরাই