কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া থেকে
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সহকারী প্রক্টর ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক আসাদুজ্জামানকে ওই বিভাগেরই এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস- করা হয়েছে। তবে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ছাত্রী নিপীড়নের কাহিনী সাজানো হয়েছে।’
গত ১৭ জানুয়ারি যৌন হয়রানির শিকার ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় প্রভাষক আসাদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস- করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ বিভাগের শাখা কর্মকর্তা রাশিদুজ্জামান খান টুটুল জানান, গত ১৬ জানুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১০-২০১১ সেশনের এক ছাত্রী শিক্ষক আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে উত্যক্ত ও অশালীন আচরণ করার অভিযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সিদ্ধান- নেয়। ফজিলাতুন্নেসা হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এএইচ এম আক্তারুল ইসলাম জিল্লু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আমি নিজেও অবহিত করেছি। এছাড়াও যৌনহয়রানির শিকার ওই ছাত্রীও ১৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন।’
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আলাউদ্দিন আহাম্মেদ প্রয়োজনীয় ব্যবস’া গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। হল প্রভোস্ট আক্তারুল ইসলাম জিল্লু জানান, নির্যাতিতা ফজিলাতুন্নেসা হলের ছাত্রী। তার পরীক্ষা চলছে। বর্তমানে তিনি হলেই রয়েছেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাস জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।