ডেস্ক রিপোর্ট::  সম্প্রতি রাজধানীতে ছাত্র সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট ও বক্তব্য দিলে ঐক্যে চিড় ধরে।

ছাত্রলীগের মধ্যে এ দ্বন্দ্ব মেটাতে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে একটি বৈঠক হয়। এতে নেতৃত্ব দেন

কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।

ওই বৈঠকে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সঙ্গে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ এবং দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ড। বৈঠকে আট নেতাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন বলে একমত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে বৈঠক শেষে তারা সেলফি তুলেছেন, যা গত শুক্রবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন।

সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সেলফি পোস্ট করে লিখেন, ‘টুগেদার উই উইল’ (আমরা একসঙ্গে থাকব)।

ঢাবি শাখার সভাপতি শয়ন ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘শুভ সকাল’।

সাধারণ সম্পাদক সৈকত লিখেছেন, ‘ইউনাইটেড উই স্ট্যান্ড, ডিভাইডেড উই ফল’ (ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা দাঁড়িয়ে থাকবো, বিভক্তি হলেই আমাদের পতন)।

এদিকে কয়েক মাস ধরে ছাত্রলীগের মধ্যে বিরোধ শীতল থাকলেও তা নতুন মাত্রা পায় ছাত্র সমাবেশের পর। মূলত কমিটি ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিরোধ তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ দুই নেতার অনুসারীদের কম পদায়ন, অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অধীনে আনা নিয়ে বক্তব্য জোরালো করতে থাকে ঢাবি ছাত্রলীগ। পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় ঢাবি ছাত্রলীগের সঙ্গে বিরোধে যোগ হয় মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা জানান, কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের মতবিরোধের কথা জানান। তখন প্রধানমন্ত্রী সবাইকে একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেন। যদি দ্রুত সমাধান না করা হয়, তাহলে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়েও বলেন। পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এই বৈঠক করে এক থাকার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হন ছাত্রলীগের নেতারা।

তবে ওপরের নির্দেশে নয় বরং নিজেদের তাগিদেই সমস্যার সমাধান নিজেরাই করেছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ও ঢাবির নেতারা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here