হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের খন্দকিয়া ছমদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরানো ভবনটি ঝুকিপুর্ণ ভবনটি ঝুকিপুর্ণ বিরাজ করছে। ভবনটি নির্মাণ করা হয় ৭২ বছর আগে । দীর্ঘ এত বছরেও জরাজীর্ণ এ ভবনটি পরিত্যাক্ত করা হয়নি। সংস্কারের মাধ্যামে ভবনটি দাঁড় করে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঝুকিপুর্ণ এ ভবনে পাঠদান চলে একই ক্লাস রুমের মধ্যে ৪র্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর দুটি ক্লাস। কোন রকম পাটিশন দিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতে পাঠদান মারাত্মক ভাবে সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর জরাজীর্ণ এ ভবনটি যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। বিদ্যালয়টিতে লেখা পড়ার মান ভাল থাকলেও উন্নয়নের দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে। স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা আফরোজা শারমিন সাথে কথা হলে তিনি একই ক্লাস রুমে পাঠদানে সমস্যার কথা স্বীকার করেন। সমাপনী পরীক্ষায় এ বিদ্যালয় থেকে এবার ৫ জন মেধার তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়টি নির্মাণের পর থেকে নানা সমস্যায় জর্জরিত। একাধিকবার বিষয় গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে দেয়া হলেও কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই। ১৯৪০ সালে উপজেলার খন্দুকয়া গ্রামের প্রতিষ্টিত এ বিদ্যালয়।
বিগত সরকার পুরানো ভবনটি ঝুকিপুর্ণ দেখা দিলে ২০০ ও ২০০৪ সালে ১টি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। এর পর ও ঝুকিপুর্ণ ভবনে পাঠদান অব্যাহত থাকে। দীর্ঘ বহু বছর ধরে ভবনটি প্লেস্টার উঠা যাচ্ছে মাঝে মধ্যে ক্লাস রুমে প্লেস্টার পড়ে থাকে। এতে বড় ধরনের ক্ষতীর আশংকা করছেন শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় পরিচালনার সাথে জড়িত সদস্যদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বিষয় গুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানালেও তারা কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
সরজমিন দেখা যায়, বিদ্যালয়ে সাড়ে তিন শত ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এ স্কুলের লেখা পড়া মান ভাল থাকায় পরীক্ষার পাশের হার শত পার্সেন্ট এ দাড়িয়েছে। লেখা পড়ায় শিক্ষকদের ও রয়েছে যতোষ্ট ভুমিকা যার কারনে পরীক্ষায় এ সাফল্য। প্রাথমিক শিক্ষায় অংশ গ্রহন করে শতভাগ কৃতিত্ব অর্জন করে।
স্কুলের একাধিক ছাত্রছাত্রী সাথে কথা হলে তারা জানিয়েছেন, ২টি ক্লাস একই রুমে এক সাথে থাকায় দুই দিক থেকে তাদের পাঠদানে সমস্য হয়। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন অবভাবক মহল।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মোহাম্মদ হোসেন/হাটহাজারী