ডেস্ক রিপোর্ট:: রাজসিক প্রত্যাবর্তন বোধহয় একেই বলে! হাতের ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের আগের ম্যাচগুলো খেলতে পারেননি। আজ দলে ফিরেই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্রাভিস হেড।
মাত্র ২৫ বলে চলতি বিশ্বকাপের যৌথভাবে দ্রুততম ফিফটির পর ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে খেললেন ৫৯ বল। ওডিআই ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে এটি চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
আগের ম্যাচেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাত্র ৪০ বলে শতরান করে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২০১৫ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ম্যাক্সওয়েলই ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড জেমস ফকনারের। বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৫৭ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান তিনি।
বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে জেরল্ড কোয়েটজের বাউন্সারে বাম হাতে চোট পান বাঁহাতি ওপেনার ট্রাভিস হেড। স্ক্যানে চিড় ধরা পড়ে তার। গত শুক্রবার হাতের ব্যান্ডেজ খুলে থ্রো ডাউনে ব্যাটিং শুরু করেন হেড। আজ বিশ্বকাপ অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই প্রত্যাবর্তনটা রাঙালেন।
যদিও সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। ওয়ার্নারের পর ফিলিপসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৬৭ বলে ১০৯ রান। যেখানে ১০ টি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কার মার রয়েছে। ঝোড়ো শুরুতে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১৯ ওভারেই ১৭৫ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার। তবে ৬৫ বলে ৮১ রানে থাকা অবস্থায় গ্লেন ফিলিপসের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে ফিরতে হয় ওয়ার্নারকে। শেষমেশ উদ্বোধনী দুই ব্যাটারকেই ফেরালেন ফিলিপস। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৬ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২০৯ রান।