ডেস্ক রিপোর্ট : : প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তালিকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ কথা জানিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। ইসি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসির আদেশে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন ৪ মার্চ সংযোজিত তালিকার ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ১২(৩) অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র থাকতে হবে।

কোনো রাজনৈতিক দল কোনো ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারবে না উল্লেখ করে আদেশে আরও বলা হয়েছে, কোনো দল চেয়ারম্যান পদে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে ওই দলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯-এর ২৯ (৩) এ বলা আছে, ‘পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচন ওই পরিষদের জন্য পূর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ থেকে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।’

অর্থাৎ চলতি মাসের ২১ মার্চের আগেই প্রথমধাপের ইউপি নির্বাচন আয়োজন সম্পন্ন করার কথা ছিল নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় যথাসময়ে ভোট হচ্ছে না। এজন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের ২৯ (৫) ধারা প্রয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এ ধারায় বলা আছে, ‘দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্যবিধ কোনো কারণে নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হইলে সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত যাহা আগে ঘটিবে, সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা প্রদান করিতে পারবে।’ অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন ২১ মার্চের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ইউপির ভোট করবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৫৫টি ইউপি নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছিল। ৪ হাজার ৫৭১টি ইউপির মধ্যে ৪ হাজার ১০০-এর মতো ইউপিতে ভোট করা যাবে। ২০০ ইউপিতে মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন আটকে আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এরই মধ্যে ৯ বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৩ সালে প্রথম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩ ও ২০১১ সালে ইউপি নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে নবম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চলতি ২০২১ সালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দশম ইউপি নির্বাচন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here