চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তা এস আই জিয়াউর রহমানসহ গোয়েন্দা পুলিশের একজন এএসআই ও তিনজন কনেস্টবলের নামে চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা ও সম্মানহানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সহকারি জজ আদালতের পেশকার জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালত ‘ক’ অঞ্চলে এ মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মামলাটি জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, এএসআই সামসুল হক, কনেস্টবল শাহীন, কনেস্টবল সামছুল হক ও কনেস্টবল সাইদুর রহমান। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সাদা পোশাকধারী আসামিরা শহরের কেদারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার ওপর মামলার বাদী চুয়াডাঙ্গা গুলশানপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল বারির ছেলে আলমডাঙ্গা সহকারী জজ আদালতের পেশকার জহুরুল ইসলামকে তার মোটরসাইকেল থামাতে বাধ্য করে এবং বাদী জহুরুল ইসলাম ও তার সাথে থাকা চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার পাড়ার ফজলে এলাহী খানের ছেলে রাব্বিউল কাদেরের দেহ তলাশি করে। তাদের কাছে কিছু না পেয়ে আসামিরা বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেয়, মারপিট করে এবং ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে আসামিরা বাদী ও তার সঙ্গীকে ডিবি কার্যালয়ে ধরে নিয়ে যায় এবং রাত তিনটা পর্যন্ত আটকে রেখে অমানষিক নির্যাতন করে। বাদী ও তার সঙ্গীকে আটক রাখার বিষয় জানাজানি হলে রাত তিনটায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি সাদা কাগজে সাক্ষর নিয়ে বাদী ও তার সঙ্গীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আদালতের বিচারক শেখ মোহা. আমীনুল ইসলাম মামলাটি নিজেই জুডিশিয়াল তদন্ত করবেন বলে আদেশ দেন। আগামি ২২ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তি দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ মামলা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জিয়াউর রহমান জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নাজমূল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমানিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/চুয়াডাঙ্গা