একটানা ১১ দিনের হাড় কাঁপানো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর ঘনকুয়াশার কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উত্তরের একটানা কনকনে হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়ছে জেলা-উপজেলার মানুষ, পশুপাখি ও জীবজন’। বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আবৃত্ত থাকায় সূযের্র দেখা মিলছে না। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শনিবার জেলায় তাপমাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীতে শনিবার উপজেলার ধোপাখালী গ্রামের রুহুল কুদ্দুছ (৪৮), বাঁকা গ্রামের আবুল হক (৮০), রাজাপুর গ্রামের লিলি খাতুন (৪২) ও পোকামারি গ্রামের মাঈনুদ্দিনের (২৫) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি শৈত্যপ্রবাহে জীবননগর উপজেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ জনে।
১১ দিনে টানা শৈত্যপ্রাহের কারণে ঘরে ঘরে কোল্ড স্ট্রোক, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালীর প্রদাহ ও সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুপাখির মাঝেও এসব রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। শীতের তীব্রতার কারণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে হতদরিদ্র খেটে খাওয়া দিনমজুর। প্রচণ্ড শীতে শীতবস্ত্রের অভাবে ঘর থেকে বের হতে পারছে না ছিন্নমূল মানুষ। এর ফলে দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে। এ সমস্ত ছিন্নমূল মানুষ কোনো রকম খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কুয়াশার কারণে জেলার প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। শীতার্ত মানুষদের সাহায্যার্থে ৪৪০ পিস সরকারি কম্বল বরাদ্দ এলেও এখন পর্যন্ত তা বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/চুয়াডাঙ্গা