ডেস্ক রিপোর্ট::  চীনের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীন গত এক বছরে তার পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করেছে এবং এখন দেশটির হাতে প্রায় ৫০০ অপারেশনাল ওয়ারহেড রয়েছে।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রকাশিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে চীনের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চীন তার এই অস্ত্রাগার দ্বিগুণ করে ১০০০ ওয়ারহেড করার আশা করছে।

তবে চীন ‘নো-ফার্স্ট স্ট্রাইক’ অর্থাৎ আগে হামলা না করার নীতিতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে বলে এতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চীনের এই অস্ত্রভাণ্ডার যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা আগের অনুমানকে ছাড়িয়ে গেলেও বেইজিংয়ের সেই মজুদ এখনও রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কম।

স্বাধীন স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অনুসারে, রাশিয়ার কাছে প্রায় ৫ হাজার ৮৮৯টি ওয়ারহেডের পারমাণবিক অস্ত্রাগার রয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ৫ হাজার ২৪৪টি। এর আগে ২০২১ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ অনুমান করেছিল, চীনের কাছে প্রায় ৪০০ ওয়ারহেড রয়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, চীন ২০৪৯ সালের মধ্যে একটি ‘বিশ্বমানের সামরিক বাহিনী’ তৈরি করবে। ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণের চেষ্টা করে চলেছেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, বেইজিং সম্ভবত ২০২২ সালে তিনটি নতুন ক্লাস্টার মিসাইল সাইট নির্মাণ শেষ করেছে। এই ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্তত ৩০০টি নতুন ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) সাইলো রয়েছে বলেও বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পেন্টাগনের রিপোর্টে বলা হয়েছে।

মূলত আইসিবিএম হলো এমন ব্যালিস্টিক মিসাইল যার সর্বনিম্ন পাল্লা প্রায় ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার (৩৪০০ মাইল)। প্রধানত পারমাণবিক অস্ত্র বহনের জন্য এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রটি ডিজাইন করা হয়ে থাকে। কিছু আইসিবিএম আবার ১০ হাজার কিমি (৬২০০ মাইল) বা তার বেশি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here