রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সংসদ সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে মেয়ের কবরের পাশে দাফন করা হয় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিককে। এরআগে সেখানে তার চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ জোহর রাজ্জাকের তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যায়। নামাজে জানাজায় দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
এরআগে সকাল ১০টায় গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা পরিষদ মাঠে রাজ্জাকের মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টারটি পৌঁছায়। উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে তার মরদেহ আধাঘণ্টা রাখা হয়। এ সময় তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায় এলাকাবাসী।
ডামুড্যা উপজেলা মসজিদে অনুষ্ঠিত জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রোববার আব্দুর রাজ্জাকের মরদেহ লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছায়। এদিনই জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণ ও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দুটি নামাজে জানাজ অনুষ্ঠিত হয়। একইদিনে তার গুলশানের বাড়িতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে আব্দুর রাজ্জাকের মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনারে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন কিডনি ও লিভারজনিত জটিল রোগে ভুগতে থাকা আব্দুর রাজ্জাককে বৃহস্পতিবার থেকে লন্ডনের ব্রুকলিন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার লন্ডন সময় বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সিনিয়র রিপোর্টার