বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে গাড়ি ভাংচুরের মামলায় স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। একই সাথে আদালত আগামী ৭ মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ এবং ঐদিন চার্জ গঠনের সময় নির্ধারণ করেছেন।  সোমবার চট্টগ্রাম সকালে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার আদালতে এই শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বাশঁবাড়িয়া এলাকায় গাড়ি ভাংচুরসহ দুটি মামলার একটির আজ তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার কথা ছিল। এই মামলায় তার পক্ষে হাইকোর্টে জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের নিম্ম আদালত  আজ স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে তার আইনজীবি জানানভ

এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশ সাকা চৌধুরীকে আদালতে নিয়ে যায়। আদালতের বাইরে তার অনুসারী বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতারা কর্মীরা হয়েছে বিক্ষোভ করেছে। আদালত এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হলেও এতো বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে নিয়ন্ত্রণ করে সাকাকে আদালত থেকে নিয়ে যেতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।

এদিকে চার্জ গঠন উপলক্ষে গত শনিবার বিকেলে তাকে কড়া নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আনা হয়।

গত বছরের ৭ নভেম্বর তাকে গ্রেফতারের আগে সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দু’টি তার বিরুদ্ধে মামলায় দায়ের হয়েছিল।

একটি মামলা আজ ৬ ফেব্রুয়ারি এবং অপরটি ১৪ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন নির্ধারিত আছে। চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল হাশেম বলেন, দু’টি মামলায় আদালতের নির্ধারিত দিনে অভিযোগ গঠন হলে এ মাসের মধ্যেই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিচার শুরু হবে। বিচার শুরুর বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি আছে।

উল্লেখ্য, সাকা চৌধুরীকে গ্রেফতারের গুজব তুলে ২০১০ সালের ৭ নভেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি-ভাংচুর ঘটনা ঘটে। ঐদিন ভোরে সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের করে। এসব ঘটনায় সীতাকুন্ড থানায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ স¤পাদক আসলাম চৌধুরীসহ অজ্ঞাতনামা লোকজনকে আসামি করে ২ টি মামলা দায়ের করা হয়। সাকা চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনামুল হক চৌধুরী জানান, সীতাকুন্ড থানায় দায়ের হওয়া ২টি মামলায় গত ডিসেম্বর মাসে সাকা চৌধুরীসহ আটজনকে আসামি করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। এতে আসলাম চৌধুরীসহ সাত আসামীর নাম বাদ দেওয়া হয়।

মামলা দু’টি ২৩ জানুয়ারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসে। ওইদিনই জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া চার্জশীট ২টি আমলে নেন এবং অভিযোগ গঠনের জন্য পৃথক দু’দিন সময় নির্ধারণ করেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here