ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরে ২৬ পদে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্য’র অভিযোগ এনে আবারো জেলা প্রশাসকসহ নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে (মামলা নং দেওয়ানী ০৩/২০১২) ঝিনাইদহের একটি আদালতে। মামলার আদেশে জেলা প্রশাসককে কারণ দর্শানোর নেটিশ দেওয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশসক দপ্তরে কর্মরত উমেদার চাচড়া গ্রামের আজিজুর রহমান, হামদহ এলাকার সুমি কুণ্ডু, বানিয়া কান্দর গ্রামের তরিকুল ইসলাম ও হুদাপুটিয়া গ্রামের জুলফিকার আলী ভুট্রো বাদি হয়ে ঝিনাইদহ সিনিয়র সহকারী জজ বুশরা সাইয়েদার আদালতে নিষেধাজ্ঞা ও ঘোষনা মুলক এ মামলাটি করেন।
আদালতে বাদির দায়ের করা আরজি থেকে জানা গেছে, ভারত বর্ষে ব্রিটিশ রাজত্ব চলাকালে তৎকালীন জেলা প্রশাসন, মহাকুমা প্রশাসন এবং অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানে উমেদার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
কিন্তু গত বছরের ২৯ ডিসিম্বর তারিখে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের দপ্তরে যে ২৬ জন কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে সেখানে কোন অভিজ্ঞ লোককে চাকরী দেওয়া হয়নি। অর্থের বিনিময়ে ও রাজনৈতিক তদ্বীরে উমেদারদের বাদ দিয়ে এ সব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ধীর্ঘকাল ধরে উমেদারদের মধ্যে থেকে ৫০% লোক নিয়োগের অলিখিত বিধান ছিল।
বাদী আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন তাদের মধ্যে অনেকেই ১০/১৫ বছর ধরে বিনা বেতনে উমেদার হিসেবে কাজ করছেন নিয়োগের আশায়।
কিন্তু তাদেরকে নিয়োগ না দিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ২৬ পদে লোক নিয়োগ করা হয়েছে। গতকাল বাদীর পক্ষে এড সাইদুর রহমান মামলাটি পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসে লোক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একই আদালতে আরেকটি মামলা চলমান। যার মামলা নং দেওয়ানী ৬৩/২০১১।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অমান্য করার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে খাজুরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লিটু বিশ্বাস ও শৈলকুপার বেড়বাড়ি গ্রামের শাহাদত হোসেনের দায়ের করা পৃথক ৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে এভাবে একের পর এক মামলা হওয়ায় জনমনে বিরুপ মন্তব্য ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহারিয়ার রহমান রকি/ঝিনাইদহ