মোঃআশরাফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জের খাদ্য উদ্বৃত্ত অঞ্চল নাচোল উপজেলায় (হাইব্রীড জাতের)মোটা ধানের অভাবে সরকারী খাদ্যগুদামে ধান ও গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য অফিস। উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা(ওসিএলএসডি) রওশন আলম জানান, চলতি বছরের ২০ মে ১২৮০ টাকা মন দরে ৭২৩ মেঃ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যে ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান ক্রয়ের সময় শেষ সময়সীমা নির্ধারন করা হয়েছে। সরকারী দরে নাচোল উপজেলার কৃষি এ্যাপস্ এর মাধ্যমে তালিকাভূক্ত কৃষকগণ সরকারী গোডাউনে ধান বিক্রী করতে পারবেন। কিন্তু নাচোলে উৎপাদিত চিকন ধানের বাইরে বাজারমূল্য বেশী থাকায় সরকারী দরে তালিকাভূক্ত কৃষকরা ধান দিতে পারছেন না। এরই প্রেক্ষিতে ৯ জুলাই পর্যন্ত ৭২৩ মেঃ টনের মধ্যে মাত্র ৮৭ মেঃ টন ধান ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে। এক দিকে নির্ধারিত কৃষি এ্যাপস্ এর মাধ্যমে তালিকাভূক্ত হতে না পারা, নাচোলে মোটা(হাইব্রীড) জাতের ধান সরকারী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী উৎপাদন হলেও বাজারমূল্য না পাওয়া ও খাদ্যগুদামে ক্রয়ের মান অর্জন না হওয়ায় সরকারী খাদ্য গুদামে কৃষকরা ধান দিতে পারছেন না কৃষকরা। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, গত বোরো মৌসুমে নাচোলে হাইব্রীড(মোটা) জাতের ধানের আবাদ হয়েছিল ৬৩৫ হেক্টোর, এবং ধান উৎপাদন হয়েছিল ৫ হাজার ২৬৬ মেঃ টন।
সরকারী রেটে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে অভিজ্ঞজনেরা মনে করছেন, ধান ক্রয়ের পূর্বে বহুল প্রচার-প্রচারনা, স্থানীয় কৃষকদেরকে সহজ পদ্ধতিতে তালিকাভূক্ত করা হলে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে পারে। বিগত ২০২৩ সালে গমের সরকারী ক্রয়মূল্য ছিল প্রতি কেজে ৩৫ টাকা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে নাচোল উপজেলায় ৮ হাজার ২৫০ হেক্টোর জমিতে রবি মৌসুমে গমের উৎপাদন হয়েছিল ৩৫ হাজার ১২৫ মেঃ টন।  গত রবি মৌসুমে নাচোল উপজেলা খাদ্য গুদামে সরকারী ৩৪ টাকা কেজি হিসেবে ১হাজার ৪৬৬ মেঃ টন গমক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও গত ৩০ জুন পর্যন্ত গম সংগ্রহ হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here