এম শরীফ আহমেদ, ভোলা থেকেঃ দ্বীপজেলা ভোলার সর্বদক্ষিনের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ চরফ্যাশন সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ কায়সার আহম্মেদ দুলাল কর্তৃক এক বিশেষ নোটিশে চরফ্যাসন সরকারি কলেজের একাদশ -দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রীদের কলেজ চলাকালীন ক্যাম্পাসে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই অাদেশ কার্যকর করার জন্য তিনি কলেজের শিক্ষক মন্ডলীর দ্বারা একটি অভ্যন্তরীন মনিটরিং টিম ও গঠন করেছেন।
নোটিশে ডিগ্রী পাস ও অনার্স কোর্সের ছাত্র ছাত্রীদেরকেও কলেজ চলাকালীন ক্যাম্পাসে মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ কায়সার আহম্মেদ দুলাল বলেন, একাদশ দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার মহামারীর অাকার ধারন করেছে। যাহা ইয়াবা সেবনের চেয়েও বেশী নেশা গ্রস্ত করেছে।
যে কারনে ক্লাশ চলছে, তখন ওরা বসে বসে ফেইসবুকে পর্ণ কিংবা অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে সময় নষ্ট করছে।ওদের মস্তিস্কে প্রলেপ পড়ছে বিকৃত রুচি।পড়ালেখার অাগ্রহ কমে যাচ্ছে। অথবা অল্প বয়সে কোন ছেলে মেয়ে ফোনে যোগাযোগ করে ক্যাম্পাসে অাড্ডা দিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে।
কখনো মোবাইল ইভটিজিং, বহিরাগতদের সাথে যোগাযোগ করে অভ্যন্তরীন পরিবেশ অস্হির করার সুযোগ সৃস্টি করে লেখা পড়ার পরিবেশে নষ্ট করা হয়। ক্লাশের ঘন্টা পরেছে ছাত্র ছাত্রী ক্লাশে নেই। তাকে দেখা যাবে ক্যাম্পাসে কোথাও বসে মোবাইলের জগতে নিমগ্ন।
দেশের শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলো জরিপ করে এর বাস্তবতা দেখতে পাওয়া যায়। অভিভাবকরা অাজ বড় দিশেহারা, অসহায়। পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করতে অাসে টাকা মওকুপের দরখাস্ত নিয়ে। মওকুপের টাকা দিয়ে ইয়াবা সেবন করে। মনে যা চায় তা করতে দেয়ার নাম স্বাধীনতা নয়, যা করা উচিত তা করার নাম স্বাধীনতা।
শিক্ষার্থীদের পড়া ও নৈতিক উন্নতির স্বার্থে এই নিয়ম চালু করা হল বলে নোটিশে উল্লেখ করেন অধ্যক্ষ দুলাল। এছাড়া তিনি তার ব্যক্তিগত ফেইজবুক আইডিতেও নোটিশটি পোস্ট করেন। কাজটি সফল করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
অধ্যক্ষ দুলালের এ সময়োপযোগী বাস্তব সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অভিবাবকমহল সহ সচেতন, সুধী সমাজ।