চরফ্যাশনেশিপুফরাজী, চরফ্যাশন প্রতিনিধি :: চরফ্যাশন হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন একটি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের মহিলা ও শিশুদের মারধর ও মালামাল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে উৎসক জনতা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ৫ নভেম্বর রাতে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, চরফ্যাশন আওয়ামী হর্কাসলীগ নেতার নুরে আলম মিয়াজী নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হাসপাতাল সড়কের মৃত হাফেজ নুরুল ইসলামের দ্বিতল পাকা ঘরে ঢুকে মহিলা ও শিশুদের মারধর করে ঘর থেকে বেড় করে ভবনটি দখল নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ভবনের বাসিন্দাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের কয়েকশ উৎসক জনতা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, হাসপাতাল সড়কের ভবন এবং চরফ্যাশন বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি তিনতলা ভবন এবং দোকান মালিক ছিলেন হাফেজ নুরুল ইসলাম। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী রহিমা বেগম, ছেলে রফিকুল ইসলাম ও শফিকুর রহমান এবং তিন মেয়ে উত্তোরাধীকার সূত্রে ওই সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। কয়েক মাস আগে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নাছরিন বেগম পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী রফিকুল ইসলাম, শ্বাশুড়ি রহিমা বিবি এবং দেবর শফিকুর রহমানকে আসামী করে নারী ও শিশু দমন আদালতে মামলা করেন।

এই মামলা থেকে অব্যহতি পেতে পরিবারটি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চরফ্যাশনের আওয়ামী হর্কাসলীগ নেতার নুরে আলম মিয়াজী ভাই হারুন মিয়াজির কাছে যান।

পারিবারিক ভাবে বিশ্বস্ত হারুন মিয়াজী বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অচলনামা তৈরীর কথা বলে অলিখিত স্ট্যাম্পে মা রহিমা বেগম, ছেলে রফিকুল ইসলাম, শফিকুর রহমান এবং তিন মেয়ের স্বাক্ষর নেন। পরে পরিবারটির বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঘরভিটা এবং হাসপাতাল সড়কের বসতঘরসহ প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পত্তি ৪৯ লক্ষ টাকা মূল্য দেখিয়ে ওই অলিখিত স্ট্যাম্পে লিখে বায়না চুক্তি সৃজন করে।

এই বায়না চুক্তির ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গত ১৮জুন ২০১৭ পরিবারটির বাজারের ঘরটি মালামালসহ রাতের আধারে দখল করে নিয়েছেন তারা। গতকাল হাসপাতাল সড়কের বসতঘর দখল নেয়ার জন্য সংঘবদ্ধ হামলা করেছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে নুরে আলম মিয়াজী ভাই হারুন মিয়াজির বলেন ,আমারা তাদের কাছ থেকে দোকান ঘর ভিটা ক্রয় করে তাদেরকে বায়না করেছি কিন্তু তারা আমাদেরকে দলিল দেয়ার কথা দিয়ে অনেক দিন যাবত গাঁ- ঢাকা দিয়ে আছে। লোক মুখে জানতে পারলাম তারা বাড়িতে আসছে । তাই আমরা খোজ নিতে গিয়েছিলাম। মহিলা ও শিশুদের মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ সঠিক নয়।

চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মএনামুল হক জানান, ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়েছি তবে এ ঘটনায়কোনপক্ষ এখনো থানায় কোন অভিযোগ করেনি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here